ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউ মার্কেটের দোকানকর্মী ও ব্যবসায়ীদের কয়েক দফা সংঘর্ষের পর ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সে জন্য দু’পক্ষের যৌথ কমিটি করার উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
বুধবার (২০ এপ্রিল) দোকান মালিক সমিতি পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে আর কোনো সংঘর্ষ না হয় সে জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ গতকাল রাত পর্যন্ত সড়কে ছিলো শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা। আজ সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও মিছিল নিয়ে ঢাকা কলেজে আসতে দেখা যায় আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের।
নিউমার্কেটসহ সংলগ্ন এলাকায় দোকানপাট খোলা না হলেও সড়কে বিশৃঙ্খলভাবে যান চলাচল করছে। থমথমে পরিবেশে নিরাপত্তার জন্য এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ শুরু হয়, যা চলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত। মধ্যরাতে দুই পক্ষকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
পরদিন মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ব্যবসায়ীরা সড়কে চলে এলে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ। সকাল সাড়ে ১০টার পর নীলক্ষেত মোড় থেকে সায়েন্সল্যাব পর্যন্ত এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের গেটে এবং ব্যবসায়ীরা চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনের সড়কে অবস্থান নেন।
এরপর ব্যবসায়ীরা নিউমার্কেট, গাউসিয়া মার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেট, চাঁদনী চক, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট এলাকায় জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
ব্যবসায়ীদের একটি অংশ সরাসরি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চলা সম্মুখ লড়াইয়ে অংশে নেয়। আরেকটি অংশ ইট ও পাথর সরবরাহ করে।
এছাড়া দুপুরে ঢাকা কলেজের আবাসিক হল আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে বিকেলের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেয়া হয়।
এর কিছুক্ষণ পরই শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন। আবাসিক হল বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। একইসঙ্গে অধ্যক্ষের অপসারণসহ ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনার বিচার দাবিতে স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।