মামলার এজাহারে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জয়দেবপুর উত্তর ছায়াবীথি এলাকায় ১৫ থেকে ২০ জন কিশোর ও যুবক সেনাবাহিনীর লোগো ও স্টিকারযুক্ত ডাম্পট্রাকে ঢিল ছোড়ে। এরপর গাড়ি থামালে তারা ধুলা ওড়ানোর অভিযোগ তুলে ক্রিকেট ব্যাট, স্ট্যাম্প ও লাঠি দিয়ে ট্রাক ভাঙচুর করে। ট্রাকচালক নুর আলম সিদ্দিকী ও হেলপার নুরুল ইসলাম বাধা দিলে তাদের পিটিয়ে চাবি ছিনিয়ে নেয়।
গাজীপুরে সেনাবাহিনীর লোগো ও স্টিকারযুক্ত গাড়িতে হামলা এবং চালক-হেলপারকে মারধরের মামলায় এক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মহানগর হাকিম আদালতের মাধ্যমে শুক্রবার দুপুরে কাজী আজহার উদ্দিন সৌরভকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২২ বছর বয়সী সৌরভের বাড়ি জয়দেবপুর উত্তর ছায়াবীথি (নয়াবাড়ি শ্মশানঘাট) এলাকায়। তিনি গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য।
গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত বিএমটিএফ লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর লোগো ও স্টিকারযুক্ত একটি ডাম্পট্রাক প্রশাসনিক কাজে ঢাকা সেনানিবাসে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে জয়দেবপুর উত্তর ছায়াবীথি এলাকায় ১৫ থেকে ২০ জন কিশোর ও যুবক ট্রাকে ঢিল ছোড়ে।
এরপর গাড়ি থামালে তারা ধুলা ওড়ানোর অভিযোগ তুলে ক্রিকেট ব্যাট, স্ট্যাম্প ও লাঠি দিয়ে ট্রাক ভাঙচুর করে। ট্রাকচালক নুর আলম সিদ্দিকী ও হেলপার নুরুল ইসলাম বাধা দিলে তাদের পিটিয়ে চাবি ছিনিয়ে নেয়।
হামলার খবরে বিএমটিএফের কর্মকর্তারা গিয়ে সৌরভকে আটক করে পুলিশে দেয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। আহত চালক ও হেলপারকে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে বিএমটিএফের আইন কর্মকর্তা আবু হানিফ সদর থানায় তিনজনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
নামীয় আসামিরা হলেন জয়দেবপুর উত্তর ছায়াবীথি (নয়াবাড়ি শ্মশানঘাট) এলাকার ২৩ বছর বয়সী মেহেদি, ২৪ বছর বয়সী কাজী সাহিল সম্রাট ও ২২ বছর বয়সী কাজী আজহার উদ্দিন সৌরভ।
ওসি বলেন, ‘সৌরভকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’