জাতীয়

কৃষি ঋণ মওকুফ করেছিলেন একমাত্র বঙ্গবন্ধু: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধংস্ত দেশে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে কৃষকদের কৃষি ঋণ মওকুফ করে দিয়েছিলেন। যখন যুদ্ধ বিধংস্ত দেশে কিছুই ছিল না, রাষ্ট্রীর কোষাগারে বৈদেশিক মুদ্রা খালি, দেশের ব্রীজ, কালভার্ট ভাঙ্গা ঠিক সেই সময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু কৃষি ঋন মাফ করে দেন, খাজনা মাফ করে দেন, গ্রামে গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় ডিপটিউবল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেন, সার কিটনাশক, বিজ, পানি ফ্রি ছিল। বঙ্গবন্ধু কৃষক বান্ধব নেতা ছিলেন।

মন্ত্রী শনিবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তালতলী আনন্দ পার্কে উপজেলা কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষনে এসব কথা বলেছেন। 

উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আবুল কাশেম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরো বক্তৃতা করেন, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এম মাকসুদুল ইসলাম, সহসভাপতি আকবর আলী চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক লায়ন একেএম আজম খান, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক লায়ন আহসান হাবিব, গাজীপুর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান লিটন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবীর, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, গাজীপুর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ প্রমুখ।

এ কৃষক লীগের সম্মেলনে মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু দুঃখী মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি তার ঐতিহাসিক ভাষনে বলেছিলেন,

এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। মুক্তির প্রয়োজন, এ জন্য কৃষক তার অধিকার পাবে। অর্থনৈতিক মুক্তি না হলে রাজনীতি কাজে লাগেনা। 

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় ১৮ জন কৃষককে গুলি হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির সময় সারের দাম ছিল সাড়ে চারশত থেকে পাচশত টাকা। তখন সার বিত্রিু হতো ১৫ শত থেকে ২ হাজার টাকা। আর বর্তমান সরকার ভতুকী দিয়ে সার দেয়।

তিনি আরও বলেন, কৃষক জাতীর মেরুদন্ড। দেশের অল্প কিছু জায়গায় শিল্প গড়ে উঠেছে। বেশীরভাগ কৃষি জমি রয়েছে। অর্থনৈতিক মুল চালিকা শক্তি কৃষি।

মন্ত্রী আরও বলেন, পুর্বে সাড়ে সাত লক্ষ মানুষের সাড়ে ২২ লক্ষ খাদ্য ঘাটতি ছিল। বর্তমানে সাড়ে সতের কোটি মানুষের খাদ্য আমদানী করতে হয়না। খাদ্য রফতানী করা হয়। শ্রলংকা ও ভুটানে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। 

বিকেলে সম্মেলনে বর্তমান কৃষক লীগের সভাপতি আবুল কাশেমকে সভাপতি ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কাজী হারুন অর রশিদকে  সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা  দেওয়া হয়।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker