শেষ বয়সে কুলছুমা বেগমের প্রয়োজন ছিল একটু আশ্রয়ের। একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই। ৭০ বছর বয়সে এসে সেই ঠাঁই দিল বাংলাদেশ পুলিশ। আইজিপি ড: বেনজীর আহমেদের উদ্যোগে মজিববর্ষে ভূমিহীন দরিদ্রদের গৃহনির্মাণ কর্মসূচির আওতায় চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কুলছুমা পেয়েছেন নান্দনিক এক ঘর।
কুলছুমা বেগমের স্বামী মারা গেছেন সাত বছর আগে। এক মেয়ে ও দুই ছেলে তাঁর। অভাব-অনটনের সংসারে ছেলে-মেয়ের পড়ালেখা করাতে পারেননি। দিনমজুর স্বামী সোলইমান ছিলেন ভূমিহীন। ভিটেহারা সোলাইমানের মৃত্যুর পর কুলছুমা শেষ বয়সে যখন অন্ধকার দেখছিলেন ঠিক তখনই আলোর মশাল হাতে নিয়ে হাজির হয় পুলিশ। মুজিববর্ষের অঙ্গীকারে পুলিশের উদ্যোগ পাল্টে দিয়েছে তাঁর জীবন।
সারা দেশে এই ঘর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইজিপি ড: বেনজীর আহমেদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
গতকাল বিকেলে চট্টগ্রামের জেলা পুলিশ সুপার মো: রশিদুল হক পিপিএমের নির্দেশে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো: তারিক রহমান ঘরের সার্বিক কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল করিম, পুলিশ পরিদর্শক মো: সাইফুল প্রমুখ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে দুই লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয় নির্মাণ ধরা হলেও এখানে জায়গা কেনাসহ ১০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে।