ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে পরিচয়ের সূত্র ধরে দেখা করতে গিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক ট্রান্সজেন্ডার নারী। এ ঘটনায় রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই ট্রান্সজেন্ডার নারী।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলাটি দায়ের হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং এ সংক্রান্ত মামলা নিয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করবো। এ ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা কতখানি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন লোকজনের পরিচয়ের বিষয়টিও আমরা তার কাছ থেকে জানতে চাইবো। মামলায় ২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার নারী ছায়েদ বিন রাব্বি শান্তর (২২) সঙ্গে পরিচয় হয় ২৪ বছর বয়সী তরুণ রিসুর। পরিচয়ের সূত্র ধরে ১০ জানুয়ারি বিকালে বসুন্ধরা এলাকায় দেখা করতে গেলে সেখান থেকে তাকে একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এবং সেই বাসায় নিয়ে গিয়ে সাইমা নিরা (২৩) আরও দু-তিনজনের সহায়তায় তাকে যৌন হয়রানি এবং এসবের ভিডিও ধারণ করা হয়। উল্টো সেই ট্রান্সজেন্ডার নারীকে সেখানে উপস্থিত কয়েকজন বলেন—অনৈতিক কাজের জন্য সেখানে এসেছে। এসময় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেয়, তাদের কাছে ছিল ওয়াকি-টকি এবং অস্ত্র। মারধরের এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা স্বর্ণের চেইন, ব্যাংকের কার্ড এবং বিকাশ থেকে সব মিলিয়ে প্রায় দুই লাখ ২৪ হাজার টাকার মতো জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় তারা। এসময় তাকে হুমকি দেওয়া হয় আরও এক লাখ টাকা সংগ্রহ করে তাদেরকে দেওয়ার জন্য, তা না হলে মেরে পূর্বাচলে ফেলে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে রিসু (২৪) তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জায়গায় প্রাইভেট কারে করে ঘুরায়। এক পর্যায়ে ১০ জানুয়ারি রাতে রামপুরা এলাকায় একটি হাসপাতালের নিচে তাকে ফেলে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা।