জাতীয়

দেশকে মুক্ত করতে হবে: মির্জা ফখরুল

দেশকে মুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, এ জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই দানবের মোকাবিলা করতে হবে। এই দানব আমাদের বুকের ওপর চেপে বসে আছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি আয়োজিত জেলা সদর স্কুল মাঠে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, পাকহানাদার বাহিনীর আক্রমণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তখন খালেদা জিয়া পালিয়ে না গিয়ে দেশেই ছিলেন। পরে ক্যান্টনমেন্টের বাসভবন থেকে খালেদা জিয়াকে আটক করে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কারাগারে রাখেন পাকসেনারা। এ জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বলেছি। সেই দিন যদি তিনি এই কাজটি না করতেন, তাহলে যুদ্ধের মোড় ঘুরে যেতে পারতো। সেই খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধে জেলে আটক রাখা হয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। বারবার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে বললেও সরকার কোনও কর্ণপাত করছে না। আমরা বারবার বলেছি, এই মানবিক কারণে বাধা দেবেন না কিন্তু সরকার শুনছেন না।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে বারবার আইন দেখায় আইনমন্ত্রী। অথচ তারা নিজেরাই বেআইনিভাবে ক্ষমতায় রয়েছে। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দিলে এ দায় সরকারকে নিতে হবে। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলনের মধ্যে আপনারা পালানোর সুযোগ পাবেন না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগের রাতে নির্বাচন করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গত ১৪ বছর ধরে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তারা দেশটাকে একটা আস্ত কুড়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সব ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। টাঙ্গাইলের আব্দুস সালাম পিন্টুকেও মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। আমাদের দলের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমতায় আছে, ততক্ষণ নির্বাচন কমিশন গঠন করে লাভ হবে না। সরকার তো নিজেই নির্বাচনি ব্যবস্থাপনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সব নির্বাচনে সরকারদলীয়রা জোর করে ক্ষমতায় যাচ্ছে। অতএব নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। এই সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান, কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান মিলন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী, বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি জাকির হোসেন নান্নু, টাঙ্গাইল জেলা যুবদলের আহবায়ক আশরাফ পাহেলী প্রমুখ।

Author


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker