জাতীয়

সংসদ সদস্যপদ থেকে চাইলেই ডা: মুরাদকে সরিয়ে দেওয়া যাবে না: হাছান মাহমুদ

যৌন হয়রানিমূলক, বিকৃত, বর্ণবাদী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী নেত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েন ডা: মুরাদ হাসান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ডা: মুরাদ হাসান পদত্যাগ পত্র পাঠালেও, সংসদ সদস্যপদ থেকে চাইলেই তাকে সরিয়ে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, ডা: মুরাদ হাসানকে জনগণ ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। তাই চাইলেই কেউ তাকে এমপি পদ থেকে বাদ দিতে পারবেন না। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।

ডা: মুরাদ দলের এমপি। আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ ও জামালপুর জেলাতেও তার পদ রয়েছে- এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে ড: হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের জেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক। সে বিষয়ে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ বলতে পারবে। তারাই সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে, কারও কর্মকাণ্ডে ও নৈতিক স্থলনজনিত কারণে প্রধানমন্ত্রী যে কাউকে মন্ত্রি পরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন। আর দলের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে। এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলা সমীচীন হবে না।’

সংসদ সদস্য পদ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংসদ সদস্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। সেই পদ থেকে চাইলেই কেউ তাকে বাদ দিতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘ডা: মুরাদ হাসান আমাকে সবসময় সহযোগিতা করেছেন। সেজন্য তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি আমাদের কোনো কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াননি। বরং সবসময় সহযোগিতা করেছেন। আমি তার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করি। তিনি যেন ভবিষ্যতে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন সেই কামনা করি।’

উল্লেখ্য, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান প্রথম আলোচনায় উঠে আসেন গত অক্টোবরে, যখন তিনি ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হওয়া নিয়ে বক্তব্য দেন। এরপর তার আরও কিছু বক্তব্য নিয়ে আলোচান-সমালোচনা শুরু হয়।

পেশায় চিকিৎসক মুরাদ হাসান আওয়ামী লীগ পন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য। তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক।

মুরাদ হাসান প্রথমবার জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি, মেস্টা, এবং তিতপল্যা) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

২০১৯ সালে তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর প্রথমে মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই বছরের মে মাসে স্বাস্থ্য থেকে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker