পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানানো হবে খালেদা জিয়াকে; নিরাপত্তায় ১০ হাজার পুলিশ
জানাজায় থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা ও কূটনীতিকরা; সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজার প্রস্তুতি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামীকাল বুধবার সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীজুড়ে ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান। প্রেসসচিব জানান, “খালেদা জিয়ার জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা, অন্যান্য উপদেষ্টামণ্ডলী এবং বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত থাকবেন। এটি একটি বিশাল জনসমাগম হবে বিবেচনা করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।”
নিরাপত্তা ও সমন্বয়:
প্রেসসচিব আরও জানান, ডিএমপি প্রধানের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে ১০ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। পুরো প্রক্রিয়াটি সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সরকারের নিরবচ্ছিন্ন সমন্বয় ও যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।
মরদেহ স্থানান্তর: বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংরক্ষিত রয়েছে। সেখান থেকে আগামীকাল মরদেহ সরাসরি সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হবে। জানাজা শেষে তাঁকে কোথায় দাফন করা হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮০ বছর বয়সী এই জননেত্রী। তাঁর মৃত্যু সংবাদ ঘোষণার পর থেকেই সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে এবং উত্তোলন করা হয়েছে কালো পতাকা।