সঞ্চয়পত্রে মুনাফা বাড়লে ব্যাংকে টাকা রাখবে না কেউ: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন
সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ানো হলে ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা নির্ধারণে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি, কারণ ব্যাংক খাতেও তারল্যের প্রয়োজন রয়েছে।
সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ানো হলে ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা **ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ**। তিনি বলেন, “সবাই যদি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে, তাহলে ব্যাংকে আমানত কমে যাবে। তখন ব্যাংক কোথা থেকে টাকা জোগাড় করবে?”
**শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে** ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “সঞ্চয়পত্রের মুনাফা নির্ধারণে ব্যালেন্স করতে হবে। ব্যাংক খাতেও তারল্যের প্রয়োজন রয়েছে। তাই মুনাফার হার বাড়ানোর আগে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
তিনি আরও জানান, খারাপ অবস্থায় পড়া কিছু ব্যাংক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইসলামি ব্যাংক এর একটি উদাহরণ। ইতোমধ্যে এই ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। এছাড়া অন্যান্য ব্যাংকের সুরক্ষার জন্য **ব্যাংক রেজোলিউশন অ্যাক্ট** প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, “এই আইনের আওতায় যারা ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছেন, তাদের অর্থ ফেরত নিশ্চিত করা হবে। যদিও কিছু সময় লাগতে পারে, তবে কারো অর্থ মার যাবে না।”
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংক্রান্ত সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিয়েও কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি জানান, এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং একটি **পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট শক্তিশালী কমিটি** গঠন করা হয়েছে সমস্যা সমাধানে।
বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, “যাতে ব্যবসা শুরু করতে বিনিয়োগকারীদের ১০-১২ জায়গায় ঘুরতে না হয়, সেজন্য সব ছাড়পত্র কেন্দ্রীয়ভাবে দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে।”
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক **মোহাম্মদ দিদারুল আলম**, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা **রাজীব চৌধুরী** ও নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার **পিয়াস বসাকসহ** অন্যান্য কর্মকর্তারা।