নগদে আতিক মোর্শেদের স্ত্রীর নিয়োগে অনিয়ম, ১৫০ কোটি টাকার তদন্ত: দুদক
দুদক নগদে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদের স্ত্রীর নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম পেয়েছে। নগদে আতিকের স্ত্রীর নিয়োগে অনিয়ম বিষয়ে ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের তদন্তও চলছে।
মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অনুসন্ধানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদের স্ত্রীর নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়মের তথ্য পেয়েছে দুদক। এছাড়া, নগদের গত দুই মাসের বিল-ভাউচারের মাধ্যমে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ বিষয়েও তদন্ত চলছে।
রবিবার (১ জুন) দুদকের কর্মকর্তারা নগদের গুলশান অফিসে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক ইকরাম হোসেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, নগদে অভিযান চালিয়ে প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তার স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে অসংগতির তথ্য মিলেছে। এছাড়া, নগদের গত দুই মাসের বিল ভাউচারের মাধ্যমে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ বিষয়েও তদন্ত চলছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। এই অভিযান ও প্রাপ্ত তথ্য দুদকের চলমান তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ মোড় এনে দিয়েছে।
আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে অভিযোগসমূহ:
- ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ: নগদের গত দুই মাসের ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ।
- স্ত্রীর নিয়োগে অনিয়ম: প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীর জন্য নগদে চাকরি নিশ্চিত করা।
নগদ থেকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে। এছাড়া, তার স্ত্রীর নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে দুদক। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আতিক মোর্শেদ এরই মধ্যে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। ওই পোস্টে তিনি দাবি করেন, ভুয়া বিল-ভাউচারে নগদ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সত্য নয়। পাশাপাশি, তার স্ত্রীর নগদে মেধা ও যোগ্যতার বলে চাকরি পেয়েছেন বলেও তিনি জোর দাবি করেন।
এই বিতর্কের মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব নিজেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট (স্বার্থের সংঘাত) এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এসেছে। কাজটা ঠিক হয়নি—এটা আমি বিনাবাক্যে স্বীকার করছি। তাকে প্রচণ্ড রকম বকাবকিও করেছি। উনার বউকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি আমি তদন্তের ব্যবস্থা করেছি, নির্দেশনা দিয়েছি।’ তার এই স্বীকারোক্তি এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা এই ঘটনাকে আরও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছে।