সরকারি চাকরিজীবীদের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট: প্রেসসচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম সরকারি চাকরিজীবী সরকার-এর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মীরা দেশের নিয়ম মানতে বাধ্য এবং তাদের চাওয়া কমিটির কাছে জানাতে পারেন।
সরকারি চাকরিজীবীদের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেছেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মীদের দেশের নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য থাকতে হবে। একইসঙ্গে, সরকারি চাকরিজীবীদের কোনো চাওয়া থাকলে তা জানানোর একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়াও তিনি উল্লেখ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রেসসচিব শফিকুল আলম সরকারি চাকরিজীবীদের বিষয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব, প্রজাতন্ত্রের কর্মীরা দেশের নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।’ তার এই মন্তব্য সরকারি কর্মজীবীদের জন্য একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এছাড়া, তিনি জানান যে, সরকারি চাকরিজীবীদের যদি কোনো চাওয়া বা দাবি থাকে, তাহলে তারা তা সচিবদের কমিটির কাছে জানাতে পারেন। এর মাধ্যমে সরকার একটি সুনির্দিষ্ট চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের দাবিগুলো শোনার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে চাইছে।
প্রধান উপদেষ্টার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও প্রত্যাশা:
- রূপান্তর: মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে ‘নিউ সিঙ্গাপুর’–এ রূপান্তরিত করার লক্ষ্য।
- বিনিয়োগ আকর্ষণ: বিশ্ববিখ্যাত পেট্রোনাস কোম্পানি মহেশখালী ও মাতারবাড়ীতে এলএমজি প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ।
- জাপান সফর: প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা জাপানি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করবে।
- অর্থনৈতিক অঞ্চল: জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য আড়াই হাজার একর অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি প্রেসসচিব প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং তার আসন্ন বিদেশ সফর নিয়েও তথ্য দেন। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে একটি ‘নিউ সিঙ্গাপুরে’ রূপান্তরিত করতে চান। এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পে বিশ্ববিখ্যাত পেট্রোনাস কোম্পানি এলএমজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফরকে ‘গুরুত্বপূর্ণ ভিজিট’ আখ্যায়িত করে প্রেসসচিব বলেন, জাপানের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের ব্যাপারে খুবই আগ্রহ রয়েছে। ইতোমধ্যে আড়াই হাজার জাপানির জন্য একটি অর্থনৈতিক জোন করা হয়েছে। এই অর্থনৈতিক জোনে যাতে আরও বেশি জাপানি বিনিয়োগ আসে এবং তাদের আর কী কী সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা জাপানে কথা বলবেন।
শফিকুল আলম জাপান থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত আর্থিক সহায়তার বিষয়েও আলোকপাত করেন। তিনি জানান, ‘আমরা জাপানের কাছে ৫০০ থেকে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার বা ১ বিলিয়ন ডলারের মতো সাপোর্ট এক্সপেক্ট করছি।’ তিনি আরও বলেন, এই প্রত্যাশিত সহায়তার মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার হবে বাজেট সাপোর্ট, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।