মামলায় যে সব সাংবাদিকদের আসামি করা হয় তারা হলেন, সমকালের সাবেক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টিভির সাবেক প্রধান মোজাম্মেল হক, সাংবাদিক সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক মুন্নি সাহা, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক সাংবাদিক মিথিলা ফারজানা, মাসুদা ভাট্টি ও ফারজানা রুপা সহ অনেকে।
এ ছাড়া মামলায় আসামি করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হারুন অর রশীদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববদ্যিালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল মান্নান, নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম ওয়াহিদুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও নগরবিদ নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, অধ্যাপক আবু জাফর মো. শফিউল আলম, অধ্যাপক মিহির লাল সাহা এবং অধ্যাপক ও লেখক জাফর ইকবালক প্রমূখ।
মামলায় বাদীর আইনজীবী এ বি এম জোবায়ের বলেন, গত ২০ মার্চ মামলার আবেদনের ভিত্তিতে আদালত শাহবাগ থানাকে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিনের গুরুতর জখমের ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। শাহবাগ থানা-পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে জানায়, এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। পুলিশের প্রতিবেদন পাওয়ার পর ফের তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর জখম-সংক্রান্ত প্রতিবেদনও জমা দিতে বলেন আদালত।
মামলায় অভিযোগ, গত বছরের ৪ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বিরুদ্ধের অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় বিএনপি। মামলার বাদীর নেতৃত্বে শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে হোটেল ইন্টার কন্ট্রিনেন্টালের সামনে আসলে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অন্য সন্ত্রাসীরা মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় ছাত্র-জনতাকে হত্যা করার জন্য গুলি বর্ষণ করে তারা। তখন মাদ্রাসাছাত্র সাইফুদ্দিনের চোখে গুলি লাগে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, অভিনেতা রোকেয়া প্রাচী, মেহের আফরোজ শাওনসহ অপর আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ ‘আলো আসবে’ গ্রুপে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হত্যা ও নির্যাতন করতে বিষোদ্গার ছড়ায়। এ মামলায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ দলটির বেশির ভাগ নেতাদের আসামি করা হয়।