‘ফ্যাসিস্ট প্রতিকৃতি ইচ্ছাকৃতভাবে পোড়ানো হয়েছে’
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো: নজরুল ইসলাম
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো: নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘ফ্যাসিস্ট প্রতিকৃতি ইচ্ছাকৃতভাবে পোড়ানো হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এটা অ্যাক্সিডেন্টাল কোন ঘটনা নয়। উদ্দেশ্য মূলকভাবেই এই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।
আপনারা দেখেছেন এই এলাকার আশেপাশে প্রচুর ক্যামেরা রয়েছে। আমাদের অনুসন্ধানী টিম আসলেই আমরা এই ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা উদঘাটন করব। আজ ১২ এপ্রিল (শনিবার) সাংবাদিকদের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
বর্ষবরণে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা মূল মোটিফ ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’তে আজ ভোরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে মোটিফটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম চঞ্চল জানান, ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিকে টার্গেট করে আগুন লাগানো হয়েছে। ওই আকৃতি পুরোটাই পুড়ে গেছে। একইসাথে পায়রার অবয়বটাও পুড়ে গেছে। আনুমানিক ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে আগুন লাগানো হয়েছে৷
চারুকলার এক শিক্ষার্থী বলেন, এটি নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছিল। আজকের মধ্যে এটির কাজ শেষ হয়ে যেত। এটা নিঃসন্দেহে ষড়যন্ত্র। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি কেউ ইচ্ছা করেই আগুন লাগিয়েছে। প্রশাসনের লোকজনও এর পেছনে জড়িত কি না খুঁজে বের করতে হবে। কারণ রাতে এখানে পুলিশের লোকজনও উপস্থিত ছিল।
প্রসঙ্গত, এ বছর বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বাঁশ-বেতের কারুকাজে তৈরি করা হয়েছিল দৈত্যাকৃতির “ফ্যাসিবাদী প্রতিকৃতি”, যার উচ্চতা ছিল প্রায় ২০ ফুট। যেখানে সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি মুখাবয়বের দুপাশে ছিল শিংয়ের মতো অবয়ব। প্রতিকৃতিতে ইতোমধ্যেই প্রলেপের কাজ শেষ হয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এটিই ছিল এবারের শোভাযাত্রার প্রধান মোটিফ।