চাকরি

পাকিস্তানের সাথে চাইলেও বাংলাদেশের সাথে কেন যুদ্ধ চাইবে না ভারত?

বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের মনোবল। ১৯৭১ সালে তারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল। এবারও তারা পিছু হটবে না। এটি শুধু ইতিহাস নয়, এটি একটি বাস্তব বার্তা—যেটা গর্জে উঠতে পারে যে কোনো আগ্রাসনের জবাবে। বাংলাদেশের ১৭০ মিলিয়ন মানুষের হৃদয়ে জাতীয়তাবাদী চেতনা গভীরভাবে প্রথিত।

আর সেনাবাহিনী? চীনের সহায়তায় আধুনিক ট্যাংক, ফাইটার জেট ও নৌসজ্জায় প্রস্তুত এক ক্ষুদ্র অথচ চৌকস বাহিনী। হ্যাঁ, ভারতের সামরিক শক্তি অনেক বড়। ৫১৩টি যুদ্ধবিমান, ৪২০০ ট্যাঙ্ক, ৮৯৯ হেলিকপ্টার। তবে যুদ্ধ মানেই সংখ্যার খেলা নয়। যুদ্ধ মানে কৌশল, মনোবল, ও আন্তর্জাতিক সমীকরণ।

অর্থনৈতিক দিক থেকেও ভারসাম্য একপাক্ষিক নয়। ভারতের ২০২৪ সালের জিডিপি: ৩.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের জিডিপি: ৪৫৫ বিলিয়ন ডলার কিন্তু যুদ্ধের খরচ সব হিসাব উল্টে দিতে পারে। প্রতিদিন বিলিয়ন ডলার খরচ—শেয়ারবাজার ধসে পড়বে, মুদ্রাস্ফীতি লাগামছাড়া। সাইবার আক্রমণ, অর্থনৈতিক চাপ, গোপন এজেন্ট, ও আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নীরব কৌশল—সবই ভারতের ভিত কাঁপাতে প্রস্তুত। ২০২৩ সালেই চীন ও পাকিস্তান ভারতের সরকারি ওয়েবসাইটে সাইবার হামলার অভিযোগ পেয়েছিল।

বাংলাদেশে ২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পাশাপাশি ভারত-চীন সীমান্তেও চীনের আগ্রাসী উপস্থিতি। চিকেন নেক—সেই ৪০ কিলোমিটার চওড়া ভূখণ্ড—যা দখল হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। চীনের কাছে এটা শুধু কৌশল নয়, প্রতিশোধ।

দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ? হিটলারের জার্মানিও সে ভুল করেছিল। ভারতের জন্য এটাই হবে সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্ন। আর যদি যুক্তরাষ্ট্র কিংবা পশ্চিমা বিশ্ব ভারতকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে? তাহলে?

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker