শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে বিক্ষোভকারীরা তার সরকারি বাড়িতে ঢুকে পড়ে আর প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে ওই সময়ে প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রী কেউই বাড়িতে ছিলেন না।
আর্থিক অব্যবস্থাপনার কারণে রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী কলম্বোয় কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। শনিবার (১০ জুলাই) নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীর বাইরে থেকে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ মানুষ।
বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাডিড়তে ঢুকে পড়ার পর গোটাবায়া রাজাপাকসে জানিয়েছেন তিনি ১৩ জুলাই পদত্যাগ করবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেও পদত্যাগে সম্মতি দিয়েছেন।
পার্লামেন্টের স্পিকার জানিয়েছেন, ‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করতে’ প্রেসিডেন্ট পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জনসাধারণকে ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল’ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের ঘোষণা আসার পরই উৎসবে মেতে ওঠে বিক্ষোভকারীরা। রাতের আকাশে দেখা যায় আলোকবাজির ফোয়ারা। প্রেসিডেন্টের বাড়ির সামনে বিক্ষোভকারীদের একজন ফিয়োনা সিরমানা বলেন, এটা ছিল ‘প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে টেনে নামানোর এবং শ্রীলঙ্কার জন্য নতুন যুগের সূচনার সময়’। তিনি বলেন, ‘আমার খুব খারাপ লাগছে যে তারা আগে যায়নি, কারণ তারা আগে চলে গেলে কোন ধ্বংস দেখতে হতো না’।
৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে আর্থিক সংকটে পড়ে শ্রীলঙ্কায় মুদ্রাস্ফীতি ক্রমেই বাড়ছে এবং খাবার, জ্বালানি ও ওষুধ আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহে ব্যর্থ হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা শেষ হয়ে যাওয়ায় ব্যক্তিগত যানবাহনে পেট্রোল ও ডিজেল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফলে জ্বালানি সংগ্রহে দীর্ঘ লাইন তৈরি হচ্ছে।