নওগাঁর ধামইরহাটে বাপ-দাদার পেশাকে আজও আকড়ে ধরে রেখেছেন নর সুন্দররা। সব শ্রেণী-পেশার মানুষ অন্যের কাছে নিজেকে সুন্দর রুপে উপস্থাপন করতে ব্যস্ত। মানুষকে চুল-দাড়ি কেটে দেখতে সুন্দর করা যাদের কাজ তারাই নর সুন্দর। আঞ্চলিক ভাষায় তাদের বলা হয় নাপিত।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে হাটে-বাজারে পিড়িতে বসা এই সেলুনগুলো। বর্তমান সময়ে বড় বড় মার্কেটে ঘর সাজিয়ে এমন কি শিতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে নর সুন্দররা মানুষের চুল কাটার কাজ করছেন। মানুষের সুন্দর্যের অন্যতম উপকরণ চুল এই চুল নিয়ে যুগে যুগে মানুষের ভাবনার অন্ত নেই। সেই কারণে নাপিতদের কদর ও প্রয়োজনীয়তা আজও ফুরিয়ে যায়নি।
এক সময় হাট-বাজারে পিড়িতে বসে চুল দাড়ি কাঁটত মানুষ। কিন্তু কালের বিবর্তনের আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের চুল দাড়ি কাটার আদি-পরিচিত দৃশ্য এখন অনেকটা কমে গেলেও ধামইরহাট উপজেলায় বিভিন্ন হাট-বাজারে চোখে পড়ে সেই দৃশ্য।
তবে আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ফলে আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গতি ধারায় এসেছে পরিবর্তন। লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। হারিয়ে যেতে বসেছে হাটে-বাজারে বসা হাতুড়ে সেলুন।
উপজেলার তালঝারি গ্রামের মৃত কিনু শিল এর ছেলে শ্রী অনিল চন্দ্র শিল বলেন, বাংলা ১৪৫৬ সন থেকে দু পয়সা সেভ ও তিন পয়সা চুল কাটা শুরু করেছি। বর্তমান সেভ ১৫ টাকা ও চুল কাটা ৩০ টাকা। এটা আমার বাপ-দাদারা করে গেছে তাই এ পেশা আমি ধরে রেখেছি বাপের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে। আধুনিক ছোঁয়া না লাগলেও বাপ-দাদা আমলের সেই স্মৃতি ধরে রেখেছেন ধামইরহাটের কয়েক জন নরসুন্দর।