কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দৃষ্টিনন্দন **’বিসমিল্লাহ সাত গম্বুজ মসজিদ’**। স্বতন্ত্র নির্মাণশৈলী ও নান্দনিকতার সৌন্দর্যমণ্ডিত এ মসজিদে নামাজ আদায় করার জন্য বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে। ভিন্ন ধর্মের পর্যটকরাও আসেন এর নান্দনিক রূপে মন ও দৃষ্টির খোরাক যোগাতে।
উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের জগদল গ্রামের ঐতিহ্যের নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিসমিল্লাহ সাত গম্বুজ মসজিদটি। জানা গেছে, **২০১৭ সালে** শুরু হওয়া মসজিদটির নান্দনিক নির্মাণের কাজ এখনো চলমান।
সরেজমিনে দেখা যায়, এতে রয়েছে **সাতটি গম্বুজ**। মসজিদটির দৈর্ঘ্য **৭৫ ফুট** ও প্রস্থ **৭৪ ফুট**। সাতটি গম্বুজ মসজিদটি নির্মাণের সময় ইট, বালু, সিমেন্টের পাশাপাশি চিনামাটি ও টাইলস মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন রঙ বেরঙের বৈদ্যুতিক আলোক বাতি।
আকর্ষণীয় এই সাত গম্বুজ মসজিদে একসঙ্গে **কয়েকশ মুসুল্লি** নামাজ আদায় করতে পারেন। পাশাপাশি মহিলাদেরও নামাজের সুব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদের গায়ে লেখা রয়েছে পবিত্র কুরআন শরীফের সূরা ও বিভিন্ন দোয়া, কালেমা। মসজিদটির কারুকাজ করা হয়েছে **মোগল, তুর্কী ও পারস্য রীতির সংমিশ্রণে**। সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে চিনামাটির গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদটি নির্মাণে স্থানীয় **আব্দুর সালাম ও তার ভাইয়েরাসহ** অনেকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটি দেখার জন্য প্রতিদিন পর্যটকেরা ভিড় করেন। কিশোরগঞ্জ থেকে মসজিদটি দেখতে আসা **মনিরুজ্জামান** ও নান্দাইল থেকে আসা **তৌহিদুল ইসলাম সরকার** বলেন, “এটি নির্মাণে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী গম্বুজ ব্যবহার করা হয়েছে। নির্মাণশৈলীতেও রয়েছে মুনশিয়ানার ছাপ। নির্মাণ শৈলীর দিক থেকে এ মসজিদটি বাংলাদেশের হাতে গোনা কয়েকটি মসজিদের মধ্যে এটি অন্যতম।”
এই মসজিদের বিষয়ে আরও জানতে চাইলে হোসেনপুর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব স্থানীয় **আল-আমীন ভূইয়া** বলেন, “মনোরম কারুকাজে পরিপূর্ণ এই মসজিদ আমাদের জগদল এলাকাবাসীর গর্ব। এই মসজিদের উসিলায় আল্লাহ যেন সকলের নাযাতের ফয়সালা করে দেন।”