বিশ্ব

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ৫ দিন বিরতির প্রক্রিয়া চলছে : ওয়াশিংটন পোস্ট

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে অন্তত পাঁচ দিন বিরতি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির জন্য উভয় পক্ষ একটি চুক্তি স্বাক্ষরের কাছাকাছি পৌঁছেছে। চুক্তি স্বাক্ষর হলে গাজায় জিম্মি অর্ধশতাধিক নারী ও শিশুকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক সরকারি কর্মকর্তা গতকাল শনিবার ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, ‘আমরা সম্প্রতি কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছি।

এটি এগিয়ে নিতে কঠোর পরিশ্রম করছি। তবে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি রয়ে গেছে।’

শনিবার ওয়াশিংটন পোস্টের ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। তবে আমরা একটি চুক্তির জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, ছয় পৃষ্ঠার শর্তযুক্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হলে উভয় পক্ষকে অন্তত পাঁচ দিন যুদ্ধ অভিযান স্থগিত রাখতে হবে। এ মেয়াদের প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৫০ বা এর বেশি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। 

গাজায় বন্দি থাকা ২৩৯ জনের মধ্যে কতজনকে এ চুক্তির আওতায় মুক্তি দেওয়া হবে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারেনি ওয়াশিংটন পোস্ট। আরব ও অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি বলছে, কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও হামাসের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা আলোচনায় এই চুক্তির রূপরেখা তৈরি করা হয়।

তবে শর্তগুলোর আওতায় ইসরায়েল গাজায় সাময়িকভাবে তাদের আক্রমণ বন্ধ করতে রাজি হবে কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়।

ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের এক মুখপাত্র শনিবার রাতে বলেছেন, ‘জিম্মি পরিস্থিতির কোনো দিক নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে যাচ্ছি না।’

যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েল ও গাজায় জিম্মিদের নিয়ে উদ্বেগ শুরু হয়। অন্যদিকে গাজায় নিয়মিত বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা ইসরায়েলের ওপর বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এক শটির বেশি দেশ দ্রুত স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে।

ইসরায়েলের কৌশলগত বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য নেতানিয়াহুর ওপর শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাপ আছে। তবে এ দাবিও বেশ জোরালো যে সরকার যেন কারো মুক্তির জন্য কোনো কিছু বিনিময় না করে।

গত শুক্রবার ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান জাচি হানেগবি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বড়সংখ্যক জিম্মিদের মুক্তির পরই শুধু সীমিত যুদ্ধবিরতি সম্ভব। এ বিষয়ে দেশটির যুদ্ধমন্ত্রিসভাও একমত হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি হলেও সেটির মেয়াদ সংক্ষিপ্ত হবে। এরপর ইসরায়েল যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগিয়ে যাবে। 

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker