গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে বিমান হামলায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০। এই হামলার পর আরো ১০০ জন নিঁখোজ রয়েছে। হামলায় সংবাদ সংস্থা আলজাজিরার সম্প্রচার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু আল-কুমসান তাঁর বাবা এবং দুই বোনসহ পরিবারের ১৯ জন সদস্যকে হারিয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংবাদ সংস্থা আলজাজিরা বলেছে, ইসরায়েলিরা ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে এবং এটি ক্ষমাযোগ্য নয় বলে নিন্দা জানা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘আলজাজিরা জঘন্য এবং নির্বিচারে ইসরায়েলি বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। এই হামলায় আমাদের এসএনজি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবু আল-কুমসানের পরিবারের ১৯ সদস্য নিহত হয়েছে। মোহাম্মদের বাবা, দুই বোন, আট ভাগ্নে এবং ভাতিজি, তার ভাই, তার ভাইয়ের স্ত্রী এবং তাদের চার সন্তান, তার ভগ্নিপতি এবং এক চাচার জীবন চলে গেছে।’
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণের মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
যেখানে ২.৩ মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনির জন্য নিরাপদ আশ্রয় বলতে কিছু নেই। এর আগেও ইসরায়েলি বিমান হামলায় আলজাজিরার অন্য একজন সংবাদদাতা ওয়ায়েল দাহদুহের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে এবং নাতি নিহত হয়। দাহদুহ একটি মর্গে তার পরিবারের সদস্যদের মৃতদেহ দেখার পর বলেছিলেন, ‘যা হয়েছে তা পরিষ্কার। তারা (ইসরায়েল) শিশু, নারী এবং বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে সিরিজ হামলা চালাচ্ছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় তিন হাজার ৫০০-এর বেশি শিশুসহ কমপক্ষে আট হাজার ৭০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সাংবাদিকদের সুরক্ষা কমিটি বলেছে, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩১ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৬ জন ফিলিস্তিনি।
আলজাজিরার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই গুরুতর অন্যায় মোকাবেলা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। মহম্মদ আবু আল-কুমসানের পরিবার এবং গাজার অন্যান্য অগণিত নিরপরাধ নাগরিক তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে।
তাঁরা যেন ন্যায়বিচার পায়, সে জন্য অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা উচিত।’