তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বুধবার বলেছেন, গাজায় হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ‘অমানবিক’ যুদ্ধের কারণে তিনি ইসরায়েল সফরের পরিকল্পনা বাতিল করছেন।
এরদোয়ান এদিন সংসদে ক্ষমতাসীন দলের আইন প্রণেতাদের বলেন, ‘আমাদের ইসরায়েলে যাওয়ার একটি পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু এটি বাতিল করা হয়েছে, আমরা যাব না।’ তিনি হামাসকে নিজের জমির জন্য লড়াই করা ‘স্বাধীনতাকামী’ হিসেবে দেখেন বলেও জানান।
গাজায় ত্রাণবাহী একটি তুর্কি জাহাজে ইসরায়েলি হামলার কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে আংকারার সম্পর্ক স্থবির হয়ে পড়ে।
২০১০ সালের ওই হামলায় ১০ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছিল।
এরদোয়ান গত মাসে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের শীর্ষ সম্মেলনের সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করেন। এর মাধ্যমে গত বছর দুই দেশের রাষ্ট্রদূতদের পুনর্নিযুক্ত করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শুরু হওয়া সম্পর্কের উন্নতি চিহ্নিত হয়।
তুর্কি নেতা কখন ইসরায়েল সফরে যাওয়ার ইচ্ছা করেছিলেন তা বলেননি।
তবে আংকারা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পে যোগদানের দিকে নজর রেখেছিল।
এরদোয়ান বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের ভালো উদ্দেশ্য ছিল, কিন্তু (নেতানিয়াহু) তারা অপব্যবহার করেছেন। তিনি যদি ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে চলতেন, তাহলে আমাদের সম্পর্ক অন্য রকম হতে পারত। কিন্তু এখন, দুর্ভাগ্যবশত এটি হবে না।
তবে আংকারা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পে যোগদানের দিকে নজর রেখেছিল।
এরদোয়ান বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের ভালো উদ্দেশ্য ছিল, কিন্তু (নেতানিয়াহু) তারা অপব্যবহার করেছেন। তিনি যদি ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে চলতেন, তাহলে আমাদের সম্পর্ক অন্য রকম হতে পারত। কিন্তু এখন, দুর্ভাগ্যবশত এটি হবে না।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
এরদোয়ান যুদ্ধের প্রথম দিনে আরো পরিমিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তিনি বেসামরিক মানুষদের বিরুদ্ধে সব রকম হামলার নিন্দা করেছিলেন এবং ইসরায়েলকে এর প্রতিক্রিয়া পরিমিত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু গত সপ্তাহে গাজার আহলি আরব হাসপাতালে প্রাণঘাতী হামলার পর তিনি অনেক বেশি সোচ্চার হয়ে ওঠেন, মুসলিম বিশ্বজুড়ে বৃহৎ ও বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদ হয়।
এর আগে মঙ্গলবার এরদোয়ান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিরুদ্ধে ‘ইসরায়েলি শাসনের’ কাছে মাথা নত করার অভিযোগ করেছেন। এরপর বুধবার তিনি বলেছেন, যারা এ অঞ্চলের বাইরে, তাদের জোরালো প্রতিবাদ করা উচিত।
এদিকে ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় শনিবার ইস্তাম্বুলে একটি বিশাল সমাবেশে এরদোয়ান উপস্থিত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।