ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার বলেছেন, ইউক্রেন এই শীতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করবে। মস্কো যদি জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিমান হামলা করে, তবে কিয়েভ কেবল প্রতিরক্ষামূলক হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেন আশঙ্কা করছে, রাশিয়া জনগণকে হতাশ করতে মূল জ্বালানি অবকাঠামোতে বোমা ফেলার পরিকল্পনা করছে। রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে আক্রমণ করার কারণে কয়েক মিলিয়ন ইউক্রেনীয় গত শীতে ব্যাপক বিদ্যুৎবিভ্রাটসহ অন্যান্য বিভ্রাটের মুখোমুখি হয়েছিল।
এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোকে একটি বৈধ লক্ষ্য বলে অভিহিত করেছে। গত শীতে কৌশলগত বোমারু বিমান ও যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করে কয়েক শ মাইল দূর থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে নিয়মিত দূরপাল্লার হামলা চালিয়েছে।
যদিও ইউক্রেনের হাতে এখনো এমন দূরপাল্লার অস্ত্র নেই। ইউক্রেন তখন থেকে তার হামলার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে, ড্রোন তৈরি করেছে এবং স্টর্ম শ্যাডো ক্রুজ মিসাইল এবং এটিএসিএমএস নামে পরিচিত দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো পশ্চিমা অস্ত্র অর্জন করেছে।
অন্যদিকে ইউক্রেন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ক্রিমিয়া উপদ্বীপে হামলা চালিয়েছে, যা রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে দখল করে নিয়েছিল।
তারা রুশ নৌবাহিনীর জাহাজগুলোতে হামলার জন্য বিস্ফোরকভর্তি সামুদ্রিক ড্রোনও ব্যবহার করেছে।
এ ছাড়া রাশিয়ার কর্মকর্তারা গত মাসে ইউক্রেনকে একটি বিদ্যুতের সাবস্টেশন এবং অন্যান্য জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলার জন্য অভিযুক্ত করেছে। ওই হামলার ফলে ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
গত সপ্তাহে ইউক্রেন বলেছে, তারা প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং এতে রাশিয়া অধিকৃত এলাকায় দুটি বিমানঘাঁটিতে ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
জেলেনস্কি তার বিবৃতিতে দাবি করেছেন, রাশিয়ার কর্মকাণ্ড ইঙ্গিত দেয় যে তারা বুঝতে পেরেছে, ইউক্রেন এখন রুশ হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে আরো ভালোভাবে সজ্জিত।
তিনি বলেন, ‘শত্রু এটা ভালো করেই বোঝে। তারা ক্রিমিয়া থেকে তাদের নৌবহর সরিয়ে নিয়েছে, বিমান চলাচল আমাদের সীমান্ত থেকে আরো স্থানান্তর করছে।’