বিশ্ব

ভারতে আসছে নতুন আইন : নাবালিকা ধর্ষণে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় আমূল বদল আসতে চলেছে। এরই মধ্যে এই বিল দেশটির জাতীয় সংসদে পেশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রস্তাবিত এ আইনে ভারতের সার্বভৌমত্ব বা অখণ্ডতাকে বিপন্ন করলে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া গণপিটুনি ও নাবালিকা ধর্ষণে জড়িত অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে।

শুক্রবার দেশটির লোকসভায় (সংসদের নিম্নকক্ষ) এ শাস্তিগুলোর বিষয়ে প্রস্তাব তুলে ধরেন অমিত শাহ। তিনি জানান, ‘জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা-নির্বিশেষে যেকোনো কারণেই হোক না কেন, পাঁচজন বা তার বেশিসংখ্যক মানুষ যদি গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে কাউকে হত্যা করে, সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকেই শাস্তি পাবে। এ ক্ষেত্রে যদি অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হয়, সে ক্ষেত্রে তাদের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন অথবা সাত বছরের জেল হতে পারে। পাশাপাশি দোষী প্রমাণিত হতে জরিমানাও ধার্য করা সম্ভব।

এবার থেকে হত্যার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ যেমন দেওয়া যাবে, সেই সঙ্গে, ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ন্যূনতম ১০ বছরের কারাদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। অন্যদিকে গণধর্ষণে কমপক্ষে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।

কেন্দ্রের নতুন এ বিলে বলা হয়েছে, ধর্ষণের পর যদি নির্যাতিতার মৃত্যু হয় তবে দোষী ব্যক্তিকে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। যার মেয়াদ ২০ বছরের কম হবে না।

তবে তা আরো বৃদ্ধি করা যেতে পারে। নাবালিকাকে (১২ বছরের কম বয়সী) ধর্ষণ করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্তকে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে, যা কোনোভাবেই ২০ বছরের কম হবে না।

লোকসভায় পেশ করা বিলগুলোর মধ্যে ছিল- ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) বিল ২০২৩, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস) বিল ২০২৩, এবং ভারতীয় সাক্ষ্য (বিএস) বিল ২০২৩, যা যথাক্রমে ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৮৬০, ফৌজদারি কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন ১৮৭২-কে প্রতিস্থাপন করবে। 

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker