বিনোদন

মুজিব সিনেমার ‘অচিন মাঝি’ গানটা গাওয়ার সময়ই বুঝেছি এটি সবার হৃদয় স্পর্শ করবে, রথীজিৎ

দেশের প্রেক্ষাগৃহে চলছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে নির্মিত ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি। ভারতের বরেণ্য পরিচালক শ্যাম বেনেগাল নির্মিত ছবিটি দেখতে এরই মধ্যে দর্শকরা সাড়া ফেলেছেন। তবে সিনেমা মুক্তির আগেই সাড়া ফেলেছে সিনেমার একটি মাত্র গান ‘অচিন মাঝি’। বাংলাদেশের গীতিকার জাহিদ আকবরের লেখা গানটি গেয়েছেন ভারতের শিল্পী রথীজিৎ ভট্টাচার্য।

মিউজিক আয়োজনও তারই। তবে সুর করেছেন শান্তনু মৈত্র। গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে কথা বলেন রথীজিৎ ভট্টাচার্য। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন অপূর্ণ রুবেল

অচিন মাঝি গানটার সঙ্গে কিভাবে যুক্ত হলেন?
রথীজিৎ : বছরখানেক আগের ঘটনা।

একদিন শান্তনুদা (শান্তনু মৈত্র) আমাকে গানটা পাঠিয়েছিলেন। পাঠিয়ে বললেন, ‘এই গানটা তোকে গাইতে হবে এবং এটার সংগীতায়োজনটাও তুই করবি।’ আমার সঙ্গে শান্তনুদার অনেক দিনের সম্পর্ক। তিনি এর আগে আমার গলায় ফোক গান অনেকবার শুনেছেন।

আমার ধারণা, ওনার হয়তো মনে হয়েছে আমার আরো গান গাওয়া উচিত। আমি তো কম্পোজার হিসেবে কাজ করি। গান খুব বেশি গাওয়া হয় না। আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, এ ঘটনার সময় আমি জানতাম না এত বড় ক্যানভাসের ছবিতে গানটা ব্যবহার হবে। এটা পরে জেনেছি।

গানটার রেকর্ডের আগে আগে। 

যখন আপনি জানলেন গানটি  ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার জন্য। তখন আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?
রথীজিৎ : এ রকম একটা ছবিতে নিজের নাম, নিজের যুক্ত হওয়া এটা একজন শিল্পীর জন্য অনেক সম্মানের। হয়তো আমার জীবনে অনেক কাজ করেছি, আরো করব; কিন্তু এটার সম্মান আমার কাছে আলাদা। এই কাজে আবেগটা অনেক বেশি। গানটার গাওয়ার সময়ই বুঝেছি এটি সবার হৃদয় স্পর্শ করবে। সুরকার শান্তনুদাও এটা বিশ্বাস করতেন। গানটা প্রকাশের পর সে রকমই হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কি, গানটা একদম মাটির গান। পুরো বাংলাদেশকে উপস্থাপন করে। এ কারণেই আমি অনেক মানুষের শুভ কামনা পাচ্ছি। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে নিয়ে সিনেমা সেখানে আমার গান, এটা আমার জন্য গর্বের। 

গানটার রেকর্ডিংয়ের সময়ের কোনো ঘটনা মনে আছে?
রথীজিৎ : আলাদা করে বলার মতো কোনো ঘটনা নেই। তবে গানটা যখন আমার কাছে সুর করে পাঠানো হয়, তখন আমি তিন-চার দিন শুধু শুনেছি। শোনার পর যখন স্টুডিওতে গাইলাম, তখন আমার খুব কম সময় লেগেছিল। আধাঘণ্টার মধ্যে গানটি রেকর্ডিং হয়ে যায়। শান্তনুদাকে গানটা পাঠিয়ে বললাম, এটা এমনি তোমাকে পাঠালাম। ফাইনাল নয়। আমার গলায় কেমন লাগছে শুনে বলো। তো কিছুক্ষণ পরে শান্তনুদা আমাকে মেসেজ করলেন, ‘আর গাইতে হবে না, এটাই ফাইনাল।’ পরে শান্তনুদা আমাকে বলেছিলেন, গানটা পরিচালক শ্যাম বেনেগালের খুব পছন্দের। উনি যখন সিনেমার কাজ করতেন তখন গানটা চালু করে রাখতেন। 

গানটির সংগীতায়োজনও আপনি করেছেন। এর আগে জি বাংলার সারেগামাপা মঞ্চে নানা কিছু দিয়ে সংগীতায়োজন করতেন…
রথীজিৎ : একদম ঠিক। জি বাংলার দর্শকরা তো সেসব দেখেছেন। এটাও করেছি। তবে গান করি এটা অনেকেই জানেন না। গানটা প্রকাশের পর বাংলাদেশ থেকে অনেকে প্রশংসা করছেন।

যত দূর জানি আপনার পূর্বপুরুষের বাড়ি বাংলাদেশে?
রথীজিৎ : একদম তাই। আমার পূর্বপুরুষের বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জে। কিন্তু আমি কখনো যাইনি। দুবার বাংলাদেশে গিয়েছি। সেটা অবশ্য ঢাকা আর নারায়ণগঞ্জে। তবে আমি কিন্তু খুব ভালোমতো সিলেটি ভাষা বলতে পারি। আমার জন্ম আসামে। পারিবারিকভাবে ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। পরে তো গান নিয়ে কলকাতায় পড়তে আসা। তারপর তো চলছে। 

এখন আপনার ব্যস্ততা কী নিয়ে?
রথীজিৎ : বোম্বেতে জিটিভির সারেগামাপাতে মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছি। এই শোটা সবাই নিশ্চয় দেখছেন এখন। আর নতুন গান তৈরির চেষ্টা।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker