সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে যেতে দেবেন না, ধরে রাখুন। কাজ করার সুযোগ দিন। ১৭ বছরের জঞ্জাল ১৫ দিনে যাবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন চান শফিক রেহমান।
শুনানি শেষে আদালত তাকে জামিনের আদেশ দেন। পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনাদের আমি চ্যালেঞ্জ দিতে চাই। আপনারা খুঁজে বের করুন সজীব ওয়াজেদ জয় কিভাবে এবং কেন আমেরিকা গিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে কেন? মামলা হওয়ার কথা তার বিরুদ্ধে যিনি জনতা ব্যাংকের একজন স্টাফকে পিষ্ট করে মেরেছে। আমি তার নাম নিতে চাচ্ছিলাম না। তারপরও বারবার এসে যাচ্ছে। সে কিভাবে এবং কেন আমেরিকা যেতে হয়েছিল এইটা আপনারা জানতে চান।
ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে শফিক রেহমান বলেন, আমি ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ তিনি দেশে টাকা আনছেন। আর যারা নির্বাচন চাচ্ছেন তাদের দুটি কথা বলতে হবে।
টাকা আসবে কোথা থেকে ? টাকা না আসলে বেতন পাবেন না, জিনিসপত্রের দাম কমবেনা। ড. ইউনূস একজন খ্যাতিমান লোক, তার আবেদনে সাড়া দিয়ে অনেকেই দিচ্ছেন।
সুতরাং ড. ইউনূসকে আপনারা যেতে দিবেন না। তাকে ধরে রাখুন, কাজ করতে দিন। ১৭ বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসেও পরিষ্কার করা সম্ভব হবেনা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার তৎকালীন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে এ মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শফিক রেহমান।
শুনানি শেষে আদালত তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। পাশাপাশি তার সাজা পরোয়ানা স্থগিত করা হয়।