দেশজুড়ে প্রচণ্ড দাবদাহ, নেই বৃষ্টি। পুড়ছে উত্তরের জনপদগুলো।মানুষের উঠছে নাভিশ্বাস। এমন পরিস্থিতিতে ঠাকুরগাঁওয়ে কয়েকটি গ্রামে নেমে গেছে পানির স্তর। এতে করে অনেক নলকূপে মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। তাতে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের চকহলদি, ও জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর, সিংগিয়া, গ্রামের টিউবওয়েল গুলোতে পানি উঠছে না। বেড়ে চলছে জনদুর্ভোগ। এতে করে দৈনন্দিন জীবনের কাজে ব্যতয় ঘটছে।
দুই সপ্তাহ ধরে নেমে গেছে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর। টিউবওয়েলের পানি ঠিকমতো উঠছে না। পাম্প বসিয়েও পানি মিলছে না। যারা বডিং করে পাম্প বসিয়েছেন, তারা কিছুটা পানি পাচ্ছেন। তাদের বাড়ি থেকে পানি আনতে গেলেও বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারা পানি দিতে চাচ্ছেন না। বাড়িতে ব্যবহৃত কাপড়, থালাবাসন ধোয়া ও রান্নাবান্না করতে যে পানি দরকার তা মিলছে না। এতে নানান ধরনের ভোগান্তিতে রয়েছেন গ্রামবাসী।
চকহলদি গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের প্রায় সময়ে অযু করার জন্য পানির প্রয়োজন হয়। কয়েকদিন থেকে টিউবওয়েল গুলোতে পর্যাপ্ত পানি মিলছে না। এতে সবারই অনেক রকম সমস্যা হচ্ছে। যদিও এটি এখন চলমান জাতীয় সমস্যা। আমরা আবদার করছি যাতে স্থানীয়ভাবে এটি সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
জুলেখা বেগম বলে, বেলা ২ টার দিকে রান্না বসিয়েছি, দুইদিন থেকে গোসল সহ কাপড় চোপড়, ধুইতে পারছি না। তারপর আবার টিউবওয়েল গুলোতে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকক্ষণ ধরে পানি দিয়ে পানি উঠানোর চেষ্টা করলেও পাওয়া যায় না পানি। হঠাৎ করে অল্প পানি উঠলে আবার নাই হয়ে যায়।
ঠাকুরগাঁওয়ের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী পরিচালক শামীম আনোয়ার বলেন, সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জেলার কয়েকটি জায়গায় এমন চিত্র দেখা দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এটির সমাধান করা যায়।