ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জে মোবাইল ফোন না ধরায় স্বামীর উপর অভিমান করে এক গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আতহত্যা করেছে। শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়নের কুশারীগাও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পীরগঞ্জ থানায় ঐ গৃহবধুর পিতার দায়ের করা দরখাস্তে জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার কুশারী গ্রামের পঞ্চানন রায়ের সাথে প্রায় দু’বছর আগে জেলার হরিপুর উপজেলার রহমতপুর গ্রামের অনিল চন্দ্র রায়ের কন্যা পবিত্রী রানীর পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৭ মাস বয়সী একটি শিশু কন্যা সন্তান আছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে শিশু কন্যা সহ স্বামী-স্ত্রী একই গ্রামের অমূল্য রায়ের বাড়ি হরিবাসর দেখতে যায়। হরিবাসরে পঞ্চানন পুরুষের দলে এবং পবিত্রী তার কন্যা সহ মহিলা দলে বসে। হরিবাসর চলাকালে শিশু কন্যা কান্না শুরু করলে স্বামী পঞ্চাননকে কয়েকবার মোবাইল করে স্ত্রী পবিত্রী কিন্তু পঞ্চানন মোবাইল ধরেনি। এতে স্বামীর উপর রাগ ও অভিমান করে পবিত্রী। পরে রাতে স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পড়ে। স্বামীর উপর অভিমান করে ৭ মাসের শিশু কন্যাকে রেখে গভীর রাতে পাশের ঘড়ের তীরের সাথে নিজের ওরনা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে পবিত্রী রানী। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.