ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়াতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত চার জন আহত হয়েছেন। তারা শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দুইটার দিকে রুহিয়া চৌরাস্তায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রুহিয়া থানা আহ্বায়ক আরিফ হোসেন স্বাক্ষরিত রুহিয়া থানার ছয়টি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এই কমিটিতে যারা পদ পাননি তারা ক্ষোপ প্রকাশ করেন এবং কমিটিকে অবৈধ কমিটি বলে আখ্যায়িত করলে। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়।
এদিন থানার ২০ নং রুহিয়া ইউনিয়নের সভাপতি ফেসবুকে নিজের পদত্যাগের বিষয়ে স্ট্যাটাস দেন। পরবর্তীতে রাত দুইটায় ছাত্রলীগে নেতা হেলাল উদ্দীন ও সবুজ ইসলাম রুহিয়া চৌরাস্তায় এলে ওই স্ট্যাটাস জোর পূর্বক দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন। এ সময় বাকবিতন্ডের এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে।
এ সংঘর্ষে হযরত আলী ও মানিক ইসলাম, রবিউর ইসলাম ও মিঠুন গুরুত জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁওয়ের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে রুহিয়া থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরিফ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়,
ফলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা চার মাস আগে লিখিত ভাবে জানিয়েছি যে জেলা ছাত্রলীগের অনুমতি ছাড়া যেন কোন কমিটি ঘোষণা করা না হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার বলেন, রুহিয়া থানায় যে ছায়টি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা আমাদের কোন লিখিত অনুমতি নাই। যেহেতু ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত । আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ওসি তদন্ত শহিদুল রহমান বলেন, সংঘর্ষের বিষয়ে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.