ঠাকুরগাঁওয়ে অন্যের দখলে থাকা বাংলাদেশ পুলিশের এক একর জমি উদ্ধার করেছে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদরের ভুল্লিতে বাংলাদেশ পুলিশের নামে থাকা এক একর জমির সীমানা নির্ধারণ করে একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ৩৩ নাম্বার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম।(জমির জে এল নাং ৬৩, দাগ নং ১৬২১, খতিয়ান নং ২৯)
জানা যায়, ১৯৮৯ সালে এলাকার জনগনের নিরাপত্তা ও জানমালের রক্ষায় পুলিশ ফারি বসানোর উদ্দেশ্যে, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিচালক বরাবর তৎকালিক ১ আসনের সংসদসদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী(ইদু) তার ব্যক্তিগত ১ একর জমি দান করেন। পরে কিছুসময় সেখান অস্থায়ী পুলিশ ফারি বসানো হলেও উঠিয়ে নেয়া হয়। একসময় জমিটি স্থানীয় মানুষের দখলে চলে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন স্থানীয় এক জমির দালাল আজিজের দখলে ছিলো জমিটি। জমিতে তিনি বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করতেন। কিন্তু সম্প্রতি আরও কপছু কতিপয় ব্যক্তি স্থানীয় নূর ইসলাম (সদ্য সাবেক মেম্বার), রাজ্জাক, হাসেম আলী, জয়নাল,দুলু মিঞা সেই জমিটিতে ভবন সহ আর কিছু কার্যক্রম শুরু করে। তারা সকলে জাল দলিলের ব্যবস্থা করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু জমিটি পুলিশের মালিকানা থাকার বিষয়টি জানতোনা জেলা পুলিশ।
সম্প্রতি গোপন সূত্রে বিষয়টি জানতে পারে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম। এর পরেই তিনি জমিটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। খুঁজে বের করেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জমির দলিল।
ওসি তানভীরুল জানান, বিষয়টি জানতে পেরে আমি গোপনে তদন্ত শুরু করি। প্রয়োজনীয় সকল কাগজ বের করি। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সদর থানার পুলিশ সহ জমিটি উদ্ধার অভিযানে যাই। জমিটি এখন পুলিশের দখলে আছে। সেখানে বাংলাদেশ পুলিশের সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।
এই বিষয়ে স্হানীয় চেয়ারম্যান জুলফিকার আলি ভূট্টো চৌধুরী বলেন, আমি আগে জানতামনা এখানে পুলিশের জমি রয়েছে। সদর থানার ওসি আমাক অবগত করলে তার দেখানো কাগজ দেখে আমি জানতে পারি। তবে স্থানীয় অনেক মুরুব্বীরা বিষয়টি জানতেন বলে পরে জানাগেছে।
জমি দানকারী রেজওয়ানুল চৌধুরীর বড় ছেলে নম্র চৌধুরী জানান, জনগনের স্বার্থে আমার বাবা জমিটি বাংলাদেশ পুলিশকে দান করেছিল।বিষয়টি আমি জানতাম। এর আগে একবার মৌখিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তবে সেসময় তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার এসপি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এর আগের পুলিশ সদস্যরা এই জমিটির বিষয়ে অবগত ছিলো কিনা তা জানা নেই। তবে আমরা সম্প্রতি জানতে পেরে পদক্ষেপ নিয়েছি। আগামীতে জায়গাটি পুলিশের কাজে ব্যবহার করা হবে।
২০১৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এলাকাটি থানা করার ঘোষনা দিয়েছিলেস। ভুল্লি এলাকাটি শীঘ্রই ঠাকুরগাঁও জেলাধীন থানা ঘোষনা হতে পারে। উদ্ধারকৃত জায়গাটি যথাযোগ্য হলে সরকারের অনেক টাকা বেঁচে যাবে
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.