ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুকানপুকুরী ইউনিয়নের সাড়োডুবি গ্রামের শান্তিপারা এলাকার মোটাই এর ছোট ছেলে শ্রী ধরনী রায় (২৭) এর স্ত্রী দিপ্তী রানী রায় ভাগ্য (২০) এর আকুতি করে কান্না করে ফেলে।
তিনি শুক্রবার বিকাল ৩ টায়, সাংবাদিকদের স্ত্রী দিপ্তী রানী বলেন যে, আমি ও ধরনী রায় গত ২০২০ সম্পর্ক করে বিয়ে করি।
আমার স্বামীর সাথে প্রায় ৬-মাস সুখের সংসার করে আসছি। হঠাৎ আমাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। পরে আমি জানতে পারি যে, আমার স্বামী অন্য কোন মেয়ের সাথে সম্পর্কে লিপ্ত। ঐ মেয়ের সাথে বিভিন্নভাবে ছবি তুলে আমাকে দেখালে এইসব নিয়ে সংসারে ঝগড়া – বিপাদ হলে কৌশলে আমাকে বাপের বাড়ি রেখে আমার স্বামী পালিয়ে যায়।
আমি গত ১৯- মাস ধরে আমি স্বামী হারা হয়ে শশুরবাড়িতে পরে আছি, মানবিকতর জীবনযাপন করছি। সে কোথায় আছে আমি জানিনা এবং কোন প্রকার যোগাযোগ করে না।
এই সুযোগে, আমার স্বামীর পরিবার আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করে চলছে, যাতে আমি তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হই।
দিপ্তী রানী আরো জানান যে, আমার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পরামর্শ পুর্বক আমার সাথে এই অমানবিক নির্যাতন চলছে যার প্রমাণ, সে তার পরিবারের লোকজনদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে ও তাদের কল রেকর্ড থেকে বুঝা যায়।
এই জন্য আমার স্বামীকে তারা আমার কাছ থেকে দূরে সরায় রাখছে, যাতে করে আমি বাধ্য হয়ে বাপের বাড়ি ফিরে যাই এবং আমার এই সংসার নষ্ট হয়ে যায়। এখন আমি কার কাছে গেলে, কি করলে আমি আমার স্বামীকে ফিরে পাবো কিছুই বুঝতে পারতেছিনা। তাই আপনাদের মাধ্যমে স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি, যাতে করে আমার স্বামীকে ফিরে পাই ও আবারও সুখের সংসার করতে পারি।
এই বিষয়ে ধরনী রায়র বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলে কোথায় আছে আমি জানি না। আমি বা আমার পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ নাই। আমিও খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালাচ্ছি ও আপনাদেরও সহযোগিতা চাই।
পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জীবন দাসের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি জানি যে মোটাই এর ছেলে বউ রেখে পালিয়ে গেছে। যার ফলে মানবতার দিনপার করছে, এবং আমরা চেষ্টা করছি যে কিভাবে তাকে খুঁজে বের করার।
শুকানপুকুরি ইউনিয়নর চেয়ারম্যানের আনিসুর রহমানর সাথে যোগাযোগ করে তার কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি এই ঘটনা শুনেছি, এবং দেখবো যে কি করা যায়।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.