ফুলবাড়ী

বিদ্যালয় সরকারি হওয়ার ৯ বছর পর লেখা হলো ”সরকারি”

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাশিপুর গ্রামে ১৯৯০ সালে পশ্চিম কাশিপুর রেজিঃ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এরপরে ১৯৯৯-২০০০ অর্থ বছরে বিদ্যালয়টি পুনঃনির্মাণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি বিদ্যালয়টি জাতীয় করণ করা হয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পর সরকারি হওয়ায় ভাগ্য বদল হয় বিদ্যালয়টিতে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের। সরকারি সুযোগ সুবিধা পেয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের ভাগ্য বদল হলেও বদল হয়নি বিদ্যালয়টির নাম। সরকারি করণের প্রায় নয় বছর পরেও গত ১১ অক্টোবর বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা গেছে বিদ্যালয়টির ভবনে লেখা রেজিঃ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের প্রায় নয় বছর পরও কেন বিদ্যালয়ের নাম বেসরকারি রয়েছে এবিষয়ে জানতে চাইলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ বলেন, সরকারি হওয়ার পরে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আমার মনে ছিল না। তাছাড়া করোনার কারণে দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলার পরে আমরা বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি খেয়াল করিনি।
এবিষয়ে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মোতালেব বলেন, আমরা এ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দ্বায়িত্বে আসার পর থেকেই করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। তারপরেও বিভিন্ন সময়ে বহুবার বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে বলেছি। কিন্তু তিনি আমাদের কোন কথাই শোনেন নি। এমনকি আমাদের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও অভিভাবকগনও নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেও তিনি তা আমলে নেন নি। আজকেও আমাদের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মিটিং হয়েছে। আমরা ওনাকে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করতে বলেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাম পরিবর্তন না করলে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অবশেষে সংবাদ প্রকাশের জন্য তথ্য সংগ্রহের একদিন পর ১২ অক্টোবর বিদ্যালয় ভবনে লেখা পশ্চিম কাশিপুর রেজিঃ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নাম পরিবর্তন করে পশ্চিম কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় লেখা হয়েছে।
বুধবার বিকালে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে প্রধান শিক্ষক আর্টের লোকজন নিয়ে এসে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের দেয়ালে নানান রঙে বিভিন্ন অক্ষর লিখে দিয়েছেন। রংতুলির ছোঁয়ায় বিদ্যালয় সুদৃশ্য হয়েছে। বিদ্যালয়টির বর্তমান সৌন্দর্য্য দেখে শিশুরা বিদ্যালয়ে আসতে আরও বেশি আগ্রহী হবে বলে মনে করেন স্থানীয় অভিভাবক ও সুধীজন।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker