গত বুধবার থেকে শিক্ষার্থীরা মাঠে নামলে ঈশ্বরদীতে সড়কগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহনের চাপ বেড়েছে। আগের মতো যানজট দেখা যায় না।
শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করায় সড়কে কোনো অনিয়ম নেই। ঢেকে রাখা ছাড়াও হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল পাওয়া গেলে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। হেলমেট না পরে রাস্তায় বের না হওয়ার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে।
দেখা যায়, সড়কের সিগন্যালে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। নগরীর কলেজ রোড, স্টেশন রোড, পাবনা রোড, রেলগেট থেকে আলহাজ্ব মোড় পর্যন্ত সড়ক নিয়ন্ত্রণ করছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে শনিবার বাজারের সব দোকানপাট খুলেছে। এর আগে গত কয়েকদিন কাঁচাবাজার, মাছের বাজারসহ ছোটখাটো কিছু মুদি দোকান খোলা থাকলেও অন্যান্য দোকান বন্ধ ছিল দোকানপাট খোলার জন্য মাইক দেন বিএনপি।
এছাড়া গত শুক্রবার কর্মকারপাড়া মন্দিরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের মতবিনিময় সভায় সবাইকে নির্ভয়ে দোকানপাট খুলতে অনুরোধ করা হয়। শনিবার থেকে স্বর্ণের দোকানসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দোকানগুলি খোলা হয়েছে কারণ নেতারা দোকানে হামলা ও লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের আশ্বাস দিয়েছেন।
সড়কে থাকা শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, শুধু চালক নয়, হেলমেট না পরলেও রেহাই পাচ্ছেন না যাত্রী। বাইকাররা যারা হেলমেট ব্যবহার করেন না, আমরা তাদের ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য দাঁড় করিয়ে রাখি। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা পরিষ্কার করছে। সাধারণ মানুষও শিক্ষার্থীদের এমনটা দেখে প্রশংসা করছেন।