সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা ধানের সমারোহ ক্ষেত নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ এখন হলুদের ভরা। যত দুর চোখ যায় হলুদ আর মাঝে মাঝে সবুজে ভরা। বাতাসে দোল খাচ্ছে ধানের শীষ। কৃষি বিভাগ বলছে, উপজেলার মাঠে ৬০ শতাংশ ধান সবুজ বর্ণ থেকে হলুদ বর্ণের আকার ধারণ করেছে, বিচ্ছিন্ন ভাবে দু-এক জায়গায় ধান কাটা শুরু হলেও আর এক সপ্তাহের মধ্যেই কৃষকেরা পুরো দমে মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলতে পাড়বে। এবারে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন ও দু’চোখ ভরে স্বপ্ন দেখছেন এ উপজেলার কৃষকেরা।
এদিকে ধান কাটার আগ মুহুর্তে পোকা ও পচা দমনে পুরো দমে ধানের পরিচর্যা করছেন কৃষকেরা। কে ফসল বেশী ফলাতে পারবে এ প্রতিযোগীতা অন্যতম কারণ। উপজেলার ধামইরহাট, উমার, আগ্রাদ্বিগুন, ইসবপুর, জাহানপুর, আলমপুর, আড়ানগর, খেলনা ও ১ টি পৌরসভাসহ মোট ৯টি ইউনিয়নে মাঠে বিভিন্ন ধরনের ধান চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে এশিয়ান শিরা, কাটারি, মোয়াজ্জেম জিরা, আটাশ, চিনি আতপসহ বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করা হয়েছে বলে উৎপাদনকারিরা জানান।
উমার ইউনিয়নের কৃষক হান্নান বলেন, আমি ৫ বিঘা জিরা ও ৩ বিঘা কাটারি ধান লাগিয়েছি ভালো ফলনের আশংঙ্খা করছি। মাঠে অধিক অংশ ধান পাকতে শুরু করেছে। আর কয়েকদিন যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে কয়েকদিনের মধ্যে আমরা ফসল কেটে ঘরে তুলতে পাড়বো। দু’এক জন কৃষক যারা অল্প পরিমান ধান কেঁটেছেন তারা জানান, ১ বিঘা ৪৯ শতাংশে ৩৩ থেকে ৩৫ মন ধানের ফলন হচ্ছে। আশা করছি এবছর ফলন ভালো হবে এবং দামও ভালো পাব। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. তৌফিক আল জুবায়ের জানান, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ৮ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় মোট ১৮ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে যদি আবহাওয়া এরকমই থাকে তা হলে কৃষকরা আশানুরূপ ফলন ঘরে তুলতে পারবে।