নওগাঁর ধামইরহাটের মেধাবী কলেজ ছাত্র আনারুল ইসলাম(২৫)র হাতের ২ টি আংগুল কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। জানা গেছে, আনারুল ২০১৭ সালে ধামইরহাট উপজেলা সদরস্থ সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ -৫ পেয়ে এসএসসিতে উত্তির্ন হয়। তার পর বগুড়া পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট এ ভর্তি হয়। বর্তমানে সে ৫ ম সেমিস্টারে অধ্যায়নরত। পড়াশুনার সুবাদে তাকে মেসে থাকতে হয়। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের মাঝে মধ্যেই চাঁদা দিতে হয়। সন্ত্রাসীদের এমন দাবি না মানায় আনারুল ইসলামকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ডান হাতের দু’টি আঙ্গুল হারাতে হয়। আহত আনারুল জানান, ওই দিন সকাল আনুমানিক ৯ টায় একই কলেজের ২ জন বড় ভাই মেসের রুমে ঢোকে প্রথমে আমার মূখে কাপড় গুজে দিয়ে একটি ওয়াশ রুমে নিয়ে হাত পিঠমোড়া করে বেঁধে প্লাস দিয়ে ডান হাতের ২ টি আঙ্গুল কেঁটে দেয়। যন্ত্রনায় ছটপট করতে লাগলে পরে বন্ধুরা অনেকটা গোপনে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। জীবনের মায়ায় সন্ত্রাসীদের ভয়ে বর্তমানে সে গ্রামের বাড়ীতে রয়েছে।
আনারুলের মা সাহারা খাতুন জানান, আমি খুব গরীব মানুষ। অন্যের বাড়ি থেকে চেয়ে এনে ছেলেকে লেখা পড়ার খরচ চলাচ্ছি। সেখানে সন্ত্রাসীরা আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলের হাতের আঙ্গুল কেটে দিয়েছে আমি এর কঠোর বিচার চাই। এত বড় ঘটনার পরও কলেজ কর্তৃপক্ষ ও বগুড়া সদর থানা কি ভূমিকা পালন করছেন? এমন প্রশ্ন উঠেছে এলাকার সর্বত্রই। আনারুল গরিব ঘরের সন্তান তাই তাতে একটি ছোট বেড়ার ঘরে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। ঘরের জ্বানালাও নেই। উন্নত চিকিৎসা করার মত অর্থ তার পরিবারের নেই। আনারুল প্রথমে প্রতিবেদককে দেখে কথা বলতে চাইনি। পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে অশ্রুসজল চোখে বললো আমার জীবনের আর কোন মুল্য নেই। আপনারা আমার জন্য যদি স্থানীয় সমাজ সেবা অফিস থেকে একটা প্রতিবন্ধীর কার্ড করে দেন তা হলে হয়তো কোন মতে জীবন ধারন করতে পারব। আমি গরীব পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছি। তাই এখন আমার এ অবস্থা। সন্ত্রাসী প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ায় আনারুল মূখ খুলতে চাচ্ছে না বলে তার মা জানান। আনারুল ইসলাম ধামইরহাট উপজেলার চকউমর (পাটারি পাড়া) গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
Subscribe
Login
0 Comments
Oldest