নওগাঁর ধামইরহাটে সড়ক ও জনপদের (সওজ) দু’পাশের জায়গা দখল করে স্থায়ী দোকান, বিভিন্ন সমিতির অফিস, ক্লাব ঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের কোন কার্যকারি পদক্ষেপ না নেয়ায় স্থানীয় ও পথচারীদের মধ্যে চরম উৎকন্ঠা আর ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা সদরস্থ মেইন আঞ্চলি মহা সড়কের দু’পাশে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। কেই কেই আবার সওজের জায়গা দখল করে পজিশন বিক্র করছে অনেক চড়া দামে। বিশেষ করে লক্ষ্য করা গেছে থানার প্রাচির সংলগ্ন সওজের জায়গায় দখল করে টিন সেড দিয়ে কাঁচা তরিতরকারি, মাছ ও গোস্তর দোকান বসিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের সীমানা প্রাচির সংলগ্ন হোটেল, বিভিন্ন সমিতি, ক্লাব, দোকান-পাঠ, গ্যারেজসহ বিভিন্ন ঘর নির্মাণ করেছে। পশু হাসপাতাল ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন দোকান। ডাক বাংলো, উপজেলা পরিষদ ঘর নির্মাণ করে ব্যবসায়ী কার্যক্রম চালাচ্ছে দখলদাররা। খাদ্য গুদামের সামনে ঘর নির্মানসহ সড়কের উপর গাছের গুল ফেলে রাখার কারনে ভোগান্তিতে পড়ছেন বিভিন্ন যান-বাহন, স্কুল/কলেজগামী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ পথচারীরা। এমনিতেই সড়কে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হেঁটে চলাচল করা দুরহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আঞ্চলিক মহা সড়কে উপজেলা প্রশাসন সংলগ্ন প্রাচির ঘেঁষে (সওজ) জায়গা দখল করে স্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ কাজে বাধা না দিয়ে প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অবৈধ ভাবে সওজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করায় উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিস চিপা-চাপায় পড়েছে। অন্যদিকে কোন কোন অফিসের সাইনবোর্ড পর্যন্ত মানুষের নজরে আসেনা। অবৈধ স্থাপনার কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং দূর্ঘনা লেগেই থাকে। দু’পার্শে স্থাপনা গড়ে উঠার কারণে সড়ক সরু হয়ে যাওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচলে বাঁধার সম্মুখীন হন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান জানান, ইতোমধ্যেই দখলদারদের নোটিশ করা হয়েছে, আমাদের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেড রয়েছে তাকে নিয়ে আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করব। কেউ যদি কোন ঘর সড়ক ও জনপদের জায়গার নির্মাণ করেন তাহলে পরিদর্শন সাপেক্ষে সেই ঘরের অতিরিক্ত অংশ ভেঙ্গে দেয়া হবে এবং সওজের জায়গা উদ্ধার করা হবে।