কালের বিবর্তনে আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার তালগাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মানুষ শখ করে বাড়ির পাশে কিংবা রাস্তার ধারে তালের বীজ রোপন করতো কিন্তু এখন আর তা চোখে পড়ে না।
আম লিচু কাঁঠালের এ মৌসুমে বাজারে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। কচি কচি তালের নরম শাঁস এই গরমে খুবই উপাদেয় খাবার। তালশাঁস বিক্রি করে অনেকেই জীবিকা নিবাহ করছেন। অনেকে বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবেও বিক্রি করছেন এই তালশাঁস। তালশাঁস বিক্রি করে ভালই আয় হচ্ছে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামের জিয়াউল হক, মুনসুর আলীদের।
উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজারে তাল শাঁস বিক্রেতা জিয়াউল হক জানান, তিনি প্রতিদিন প্রায় ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকার তালশাঁস বিক্রি করেন। এই আয়ে বেশ ভালো ভাবে সংসার চলে যায় তার। মাত্র পাঁচ- ছয় শত টাকার তাল কিনেই তার আয় হচ্ছে বলে জানান তিনি। অবশ্য পেছনে আছে অনেক শ্রম। গাছ থেকে তাল পেরে আনা, বহনকরা, কাটাকুটিসহ শ্রমই তার।
সাহেবগঞ্জ গ্রামের জিয়াউল হক বলেন, “আমরা বেশির ভাগ সময় তালসহ গাছ ঠিকে কিনে থাকি। বাজারে এনে এসব তাল থেকে শাঁস বিক্রি করি। একটা তালের মধ্যে ২-৩ টা শাঁস থাকে। বেশির ভাগ তালের মধ্যে ৩টা শাঁস থাকে। একেকটি তালশাঁস ৩-৫ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি করি। তিনি আরো বলেন, তালের শাঁস বিক্রি করে ৪ জনের সংসার ভালোই চলছে বলে জানান।
তালশাঁস ক্রেতা মোহম্মাদ আলী জানান, এই গরমে তাল শাঁস খেতে খুবই মজা। ৮টা তালশাঁস ৩০টাকায় কিনলাম। বাচ্ছারাও এটা খুবই পছন্দ করে। এছাড়া পাঁচুপুর উজানপাড়া গ্রামের তালে শাঁস ক্রেতা আব্দুল হামিদ (হামেদ) জানান, তালের শাঁস খুবই সুস্বাদু। তালের শাঁস খেতে ভালোই লাগে। ফলে এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এটি নরম ও সুস্বাদু। সব বয়সের মানুষই এটি সহজে খেতে পারে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.