নওগাঁ

প্রেমের টানে মালয়েশিয়ান তরুণী নওগাঁয়, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে সম্পন্ন

ভাষা, দেশ ও সংস্কৃতির ভিন্নতা উপেক্ষা করে ভালোবাসার টানে এক হলেন মালয়েশিয়ার নাজিয়া বিনতে শাহরুল হিজাম এবং বাংলাদেশের জামিল হোসেন। মালয়েশিয়ায় পরিচয় ও প্রেমের পর পরিবারের সম্মতিতে তারা বিয়ে করেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে এসে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। এই ভিনদেশি বধূকে দেখতে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ি গ্রামে উৎসুক মানুষের ভিড় জমছে।

ভাষা, দেশ আর সংস্কৃতি আলাদা—তবুও ভালোবাসার টানে এক হলেন দুই তরুণ-তরুণী। মালয়েশিয়ার **নাজিয়া বিনতে শাহরুল হিজাম** এসেছেন বাংলাদেশে, প্রবাসী **জামিল হোসেনকে** বিয়ে করতে।

এই ভিনদেশি নববধূকে দেখতে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ি গ্রামে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ।

**তিন বছর আগে** মালয়েশিয়ায় একটি শপিংমলে জামিল হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় নাজিয়ার। সেখান থেকেই গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব ও প্রেম। একপর্যায়ে পরিবারের সম্মতিতে তারা মালয়েশিয়ায় বিয়ে করেন। এরপর **৩০ জুন** দুইজনে বাংলাদেশে আসেন।

**শুক্রবার দুপুরে** জামিলের নিজ বাড়িতে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। **বৃহস্পতিবার রাতে** গায়ে হলুদের আয়োজন হয়।

জামিল হোসেন বিলাশবাড়ি গ্রামের **কালাম হোসেনের** ছেলে। তিনি **২০১৭ সালে** মালয়েশিয়ায় যান এবং জহুরবারু মোয়ার থানার একটি ফার্নিচার দোকানে চাকরি করেন। পাশের শপিংমলের দোকানে কাজ করতেন নাজিয়া। সেখানেই পরিচয় থেকে প্রেমের শুরু।

নাজিয়া বলেন, “আমি জামিলকে খুব ভালোবাসি। বাংলাদেশে এসে সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। জামিলের পরিবারের সবাই খুবই ভালো। এখানকার খাবারও আমার খুব পছন্দ হয়েছে।”

জামিলের মা **হালিমা খাতুন** বলেন, “আমার ছেলের বউকে আমাদের খুব ভালো লেগেছে। সে খুব সহজেই সবার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে এবং পরিবারের কাজেও সহযোগিতা করছে।”

Image

বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে নবদম্পতিকে একনজর দেখতে আশপাশের গ্রাম থেকেও মানুষ ছুটে আসছেন। অনেকেই বলেন, আগে বিদেশি মেয়েরা বাঙালি ছেলেদের প্রেমে বাংলাদেশে আসে এমন খবর শুনলেও এবার নিজের চোখে দেখছেন।

ছুটি শেষে জামিল ও নাজিয়া আবার মালয়েশিয়ায় ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন পরিবার।

Author

মো: খালেদ বিন ফিরোজ, নওগাঁ প্রতিনিধি

পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি ৩০ মে থেকে মিশন ৯০ নিউজে নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker