সরিষাবাড়ী

সরিষাবাড়ীতে বিপুলের হাত-পা কে’টে বিচ্ছিন্ন করা প্রধান আসামি ‘আপেল’ গ্রেপ্তার

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে একই পরিবারের তিন সদস্যকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে আতাউর রহমান বিপুল মিয়াকে হত্যার মামলায় প্রধান আসামী আপেল’কে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রেসব্রিফিং এর মাধ্যমে জামালপুর জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার দিবাগত রাত দেড়টা দিকে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জেলার মাধবপুর উপজেলার হরিপুর এলাকা থেকে প্রধান আসামি আসাদুজ্জামান আপেল (৪০) কে গেপ্তার করে গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) পুলিশ।

পুলিশ সুপার ব্রিফিং বলেন, ‘সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি এলাকার নিহত বিপুল মিয়ার পিতা আনোয়ার হোসেন কালু মিয়া ও তার চাচাতো ভাই তোতা মিয়ার সাথে বসতবাড়ীর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিলো।

এরই জের ধরে শুক্রবার (১৭ ই জানুয়ারি) সকালে আনোয়ার হোসেন কালু মিয়ার বসতবাড়ী আঙ্গিনায় গাছ কাটা নিয়ে হুমকি দেয় তোতা মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামান আপেলসহ তার লোকজন। নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় বিপুল ও তার স্ত্রী আসমা বেগম ও পুত্রবধূ মুক্তা বেগম।

Image

একপর্যায়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে আতাউর রহমান বিপুল, মুক্তা বেগম ও আসমা বেগম এর উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় আসাদুজ্জামান আপেলসহ তার লোকজন। 

এসময় বিপুলের ডান হাত ও ডান পা কুপিয়ে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে এবং তার স্ত্রী মুক্তার ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল ও বাম পায়ের রগ কেটে ফেলে।

পরে বিপুলের মা আছমা বেগম ফিরাতে গেলে তারও একটি হাত ভেঙে দেয় আপেল ও তার লোকজন। এসময় হামকারীরা সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

পরে তাদের ডাক চিৎকার শুনে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপুল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করে। বাকি আছমা বেগম ও মুক্তা বেগম ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

এ ঘটনায় (১৭জানুয়ারি) নিহতের বড় ভাই আল-আমিন বাদী হয়ে আসাদুজ্জামান আপেলকে প্রধান আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় ১০ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে পুলিশ ও ডিবি পুলিশ বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি আপেল সহ ৭ জনকে গেপ্তার করে। প্রধান আসামিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরিপুর এলাকা থেকে গেপ্তার করা হয়। বাকীদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও পুলিশ সুপার জানান।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker