জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে রহস্যজনকভাবে মহাশ্মশান কালী মাতা মন্দিরে ৬টি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পৌরসভার কামরাবাদ এলাকায় কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান কালী মাতা মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।
পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ, ডিবি, ডিএসবি, এনএসআই ও সেনাবাহিনী সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী পৌরসভার কামরাবাদ এলাকায় স্থাপিত কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান কালী মাতা মন্দির। বৃহস্পতিবার রাতে আধারে রহস্যজনক ভাবে প্রধান ফটকে তালা রক্ষত রেখেই কে বা কারা এই প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের এই ঘটনাকে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয়রা অনেকেই রহস্যময় বলে ধারণা করছেন। ঘটনায় মন্দিরের ৬টি প্রতিমা ভাঙচুর সহ কিছু নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করা হয়। দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে হয়তো একটি চক্র এসব ঘটাচ্ছে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন।
মন্দির দেখাশোনা দায়িত্বে থাকা শ্রী লাল চাঁন কর্মকার বলেন, তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে এসে দেখে যান মন্দিরে সব কিছুই ঠিক আছে। হটাৎ রাতে কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন এটা তার জানা নেই।
এ-দিকে বিভিন্ন সূত্র জানায়, সরিষাবাড়ী হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রসিদ্ধ কয়েকটি মন্দির কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দুইটি গ্রুপে বিরোধ চলে আসছে। দুটি গ্রুপে আধিপত্য বিরোধের জের ধরে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারের অপরাজনীতির শিকারে এসব মন্দির ভাঙচুর ও চুরির ঘটনা ঘটছে। তবে অপরাধীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ
এ-বিষয়ে মহাশ্মশান কালি মাতা মন্দিরে সভাপতি উত্তম কুমার তেওয়ারি বলেন, ‘মন্দিরের ৬টি প্রতিমা ভাঙচুর সহ কিছু নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে। এটি কে বা কারা করেছেন সেটা তিনি অবোগত নয়।অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
এ-ব্যাপারে জামালপুর জেলা (অতিরিক্ত) পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এঘটনার সত্যতা বের করা হবে।