সরিষাবাড়ী

সরিষাবাড়ীতে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে মারধরে শিকার হলেন জামাই

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে মেয়ের জামাইকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের বারইপটল এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। আজ রবিবার সকালে বিষয়টি সাংবাদিকদের আহত (জামাই) মো: মেহেদী হাসান বিপ্লব। এঘটনায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

স্থানীয় ও আহতের সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পিংনা ইউনিয়নের ফুলদহের পাড়া গ্রামের আতাউর রহমান এর ছেলে বিপ্লব মিয়ার (২২) এবং একই ইউনিয়নের বারইপটল গ্রামের ইয়ার মামুদ এর মেয়ে রুমা খাতুনের (২০) সাথে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে। 

গত ৫ বছর পূর্বে সেই সম্পর্কে পারিবারিকভাবে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাদের ঘরে জন্ম হয় একটি সন্তানের। বিবাহের ৩ বছর পর থেকে তাদের পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হতে থাকে। এক পর্যায়ে গৃহবধূ রুমা খাতুন আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। গত ২ বছর যাবত সেই মামলা আদালতে চলমান আছে। পর্যায়ক্রমে বিপ্লব মিয়া আদালতে হাজিরা দেন।

এদিকে গত শনিবার সকালে হটাৎ শ্বশুর বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে নিজের বাড়ি (ফুলদহ) যাচ্ছিলেন বিপ্লব মিয়া। এমন সময় তার শালিকা মোছা: ইসমিতা খাতুন বিপ্লব মিয়াকে ডাক দিয়ে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যান। এসময় বিপ্লবের স্ত্রী এবং তার শ্বশুর-শাশুড়ী বিপ্লবকে দেখতে পেয়ে অকর্থ ভাষায় গালি গালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্বশুর উত্তেজিত হয়ে বিপ্লবের উপড় আক্রমণ করে। পরে বিপ্লব মিয়া মাটিতে পড়ে গেলে পরিবারের সবাই মিলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে সেখান থেকে উদ্ধার হয়ে আহত অবস্থায় সরিষাবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি হন বিপ্লব মিয়া।

এঘটনায় জামাইকে পিটাতে গিয়ে লোহার আঘাতে (শ্বশুর) ইয়ার মামুদ নিজেও আহত হয়ে সরিষাবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি হয়।

এঘটনায় আহত (জামাই) বিপ্লব মিয়া বলেন, ‘আমার একটি সন্তান হয়েছে। অনেক সময় তাকে দেখতে মন চায়। তারা আমার নামে মামলা করেছেন আদালতে। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করতে রাজি। কিন্তু শ্বশুর-শাশুড়ি মেয়েকে দিতে চায় না। তারা বিয়েটাও জোর করে দিয়েছিলো আমার সাথে। শনিবারে সকাল ১১টার দিকে আমাকে ডেকে নিয়ে তারা পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করতে চেয়েছিলো। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবো।

এবিষয়ে বিপ্লবের (শ্বশুর) ইয়ার মামুদ বলেন, ‘বিপ্লব যে সব কথা বলেছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাকে কেউ ডেকে নিয়ে আসেনি। সে নিজেই এসে বাড়িতে হৈ-হু-ল্লা সৃষ্টি করেছে এবং আমাদের মেরেছে। তিনি আরো বলে, তার ক্ষমতা কত সেটা এবার আমরা দেখে নেবো। 

এ-ব্যাপারে তারাকান্দি তদন্তকেন্দ্র ইনর্চাজ ঝুটন কুমার বরমণ বলেন, ‘এঘটনায় এখনও কোন অভিযোগ আসেনি। লিখিত কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker