পৃথিবীর প্রতিটি বাবা-মা চায় নিজের সন্তানদের ভালোবাবে লালন পালন করতে। তবে সংসারের যদি অভাব অনটন থাকে তাহলে সেটা হয়ে উঠে কষ্টসাধ্য।
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর-সরিষাবাড়ী গ্রামে অভাব অনটনের সংসারে কাঠমিস্ত্রী আতাউর রহমান বাবুর স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম এক সাথে জন্মদেন জমজ ৪টি কন্যা সন্তান।
জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি জামালপুর শহরের আমলাপাড়ায় এপোলো বেসরকারী হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে ৪টি কন্যা সন্তান জন্মদিয়ে পরিবার আলোকিত করেন আঞ্জুয়ারা বেগম। তাদের নাম রাখা হয়, ফাতেমা, কুলসুম, জয়নব ও রোকেয়া। তাদের বয়স এখন ২৪দিন। জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। তার পর থেকেই গ্রামের শতশত নারী-পুরুষ সেই জমজ শিশুদের দেখতে ভির জমান প্রতিনিয়তই। কিন্তু এত আনন্দে মধ্যে সেই শিশু সন্তানদের লালন পালন করতে হিমশিম খাচ্ছেন কাঠমিস্ত্রী আতাউর রহমান বাবু। চার মেয়ের দুধ কেনার টাকা, পরিবারের অন্যান্য খরচ জোগাতে না পেরে কষ্টের মাঝে দিন পার করছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, আতাউর খুব দরিদ্র একজন মানুষ। আল্লাহতালা তার ঘরে চারটি কন্যা সন্তান দিয়েছেন। এখন তারা নিজেরাই চলতে পারে না, চারটি সন্তানের খরচ কিভাবে জোগাবে। ধানশীল ব্যক্তিদের উচিৎ এই পরিবারের দিকে সাহায্যের হাতবাড়িয়ে দেওয়া।
কাঠমিস্ত্রী আতাউর রহমান বাবু এবং তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, আল্লাহতালা ৪টি কন্যা সন্তান দিয়েছেন এতে অনেক খুশি আমরা। তবে বাচ্চাদের খরচ, নিজেরদের সংসার খরচ কোন ভাবেই চালাতে পারাচ্ছি না। কাঠমিস্ত্রির কাজ করে যা কামাই করি সেগুলো দিয়ে চাল ডাল কিনাই কঠিন। সন্তানদের ‘খাবার দুধ’ কিনবো কিভাবে। ৪টি বাচ্চার জন্য ২দিন পর পর ১হাজার টাকার দুধ কিনতে হয় সেটা আমরা কিনতে পারি না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, দানশীল ব্যক্তিবর্গ ও সরকারের কাছে তাদের আকুল আবেদন সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমাদের পরিবারকে সাহায্য করেন। সহযোগীতার জন্য (বিকাশ-০১৯২৭৭৬৮০৬৪) যোগাযোগ করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাকিল মাহমুদ বলেন, পরিবারটা খুবই দরিদ্র। সকলের উচিৎ বাচ্চা গুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাদেরকে সাহায্য সহযোগীতা করা।
এ-বিষয়ে সাতপোয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, ৪টি জমজ কন্যা সন্তানের খবর আমরা শুনেছি। আরো শুনেছি সেই পরিবারটি দরিদ্র। ইতিমধ্যে আমরা ঐ শিশুদের মায়ের নামে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাতৃত্ব কালীন ভাতার কার্ড করে দিয়েছি। সেখান থেকে সে মাসে মাসে টাকা পাবে। এছাড়া দুই/তিন দিনের মধ্যে আমরা সকল ইউপি সদস্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে তাদেরকে দেখতে যাবো। এছাড়া তারা পরিষদের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগীতা পাবে।