জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বসতভিটার জমি নিয়ে দুই’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের পাঁচ জন আহত হয়েছে। গত শনিবার (১১ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাটাবুগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
এ-ঘটনায় গত রবিবার সকালে আসাদ আলী বাদী হয়ে মুজিবর রহমান ও সোহেল রানাকে প্রধান আসামি করে ১১জনের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পাটাবুগা গ্রামে মৃত হাসেন আলীর ছেলে আসাদ আলী (৭০) সাথে প্রতিবেশী মৃত তনি মিয়ার ছেলে মুজিবর রহমান (৫০), ও সোহেল রানা (৩৫) বসতবাড়ি জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত বিরোধ চলে আসছিলো। পৈত্তিকসুত্রে বসতবাড়ির ৪৬শতাংশ জমি কাগজপত্রে দুইপক্ষে সমান ভাগে ভাগ রয়েছে। সেই জমি আসাদ আলী জোরপূর্বক ২৬শতাংশ ভোগদখল করে আসছেন। এদিকে প্রতিবেশী মৃত তনি মিয়ার ছেলে মুজিবর রহমান ও সোহেল রানা ২০শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছেন। আসাদ আলী ৩শতাংশ জায়গা বেশি দখল করায় দুইপক্ষে মধ্যে বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন যাবত। ইতিপূর্বে স্থানীয়রা অনেক ভার শালিস বৈঠক করে সেই জমির ঝামেলা মীমাংসা করতে পারেনি।
বিরোধপুর্ণ সেই জমিতে শনিবার দুপুরে জোরপূর্বক বসতঘর তুলতে যায় আসাদ আলীর ছেলেরা। এসময় মৃত তনি মিয়ার ছেলে মুজিবর ও সোহেল রানা বাঁধা দিয়ে আমিন নিয়ে জমি পরিমাপ করে খুঁটি গাড়েন। তখনই এই নিয়ে দুইপক্ষের কথাকাটাকাটি হয়। সেই সুত্রে ঐদিন রাত ৯টার দিকে দুইপক্ষের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে পুনরায় ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এসময় উভয় পক্ষের সোহেল রানা, ফরহাদ আলী, রফিকুল ইসলাম, কহিনুর ইসলামসহ পাঁচজন আহত হয়। এতে রক্তাক্ত হয়ে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ফরহাদ আলী ও সোহেল রানাকে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকীদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে সংবাদ পেয়ে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ঐ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আহত ফরহাদ আলী বলেন, ‘তাদের জমিতেই তারা ঘর তুলতে ছিলেন। সেখানে প্রতিবেশী চাচাত ভাইদের কোন জমি নেই। তারা পরিকল্পিত আমাদের উপর হামলা করেছেন। আমরা থানায় মামলা করেছি তাদের বিরুদ্ধে।
অন্য পক্ষের আহত সোহেল রানা বলেন, ‘পৈত্তিক সম্পতি দলিলে দুইপক্ষে সমান সমান লেখা আছে। সেখানে তাদের জমি মাঠে আছে ২৩শতাংশের জায়গায় ২০শতাংশ। তারা ৩শতাংশ জায়গা জোর করে দখল করে বসতঘর নির্মান করতেছেন। বাঁধা দিলে রাতের আধারে তারা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করেন।
এ-বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মহব্বত কবীর জানান, এঘটনায় অভিযোগের পর তদন্তসাপক্ষ্যে থানায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।