জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এক পুলিশ সদস্য লাঞ্চিত করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৬ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের মেন্দারভেড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান লুলু।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আওনা ইউনিয়নের মেন্দারভেড় গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি খান। তার ছোট ছেলে মোবারক হোসেন রাজাকে আসামী করে গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এর জের ধরে গত শুক্রবার মধ্য রাতে ওই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে যায় পুলিশ। পুলিশ গিয়ে ঘরের দরোজায় সজোরে আঘাত করতে থাকে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি খান তাদের পরিচয় জানতে চান। পুলিশ তাদেরকে প্রশাসনের লোক বলে পরিচয় দেয়। দরোজা খুলে দিলে পুলিশ ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। রাজাকে খুঁজে না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি খানকে ধরে থানায় নিয়ে আসতে চায় পুলিশ।
আব্দুল গণি খান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দেন। পরিচয় পেয়ে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতান তাকে প্রশ্ন করে বলেন, আপনি কিসের মুক্তিযোদ্ধা। কে আপনাকে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দিয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি খান ও তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার কান্না জড়িত কন্ঠে এমনটাই অভিযোগ করে সাংবদিকদের জানান।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি খান সাংবাদিকদের বলেন, দেশের মানুষের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি। এই কি তার প্রতিদান। পুলিশ কি করে তার সাথে এমন অশালীন আচরণ করতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি এর বিচার দাবি করেন।
মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মাহমুদা বেগম বলেন, পুলিশ মধ্য রাতে বাড়ি পিছনের ঝুপঝাড়ের গলি দিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। এক পুলিশ খুবই অশালীন আচরণ করেন তাদের সাথে।
এ ব্যাপারে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি খানের সাথে তিনি খারাপ আচরন করেননি। তিনি তাকে যথাযথ সম্মান দিয়েই কথা বলেছেন।
এ বিষয়ে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) সরোয়ার জাহান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের গর্ব। তাদের সাথে খারাপ আচরন করার প্রশ্নই উঠে না। তারপরেও কোন পুলিশ সদস্য মুক্তিযোদ্ধার সাথে খারাপ আচরণ করেছে কিনা তার খোঁজ নেওয়া হবে।