জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ যমুনা সার কারখানার ৪৮৬জন শ্রমিককে অবৈধ ভাবে ছাটাই করার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চতুর্থ দিনের মত অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চাকরি ফেরত না পেলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন।
শ্রমিক ছাটাইয়ের প্রতিবাদ ও পুনর্নিয়োগের দাবিতে শনিবার (১৭সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার পোগলদিগা ইউনিয়নের তারাকান্দি সার কারখানার এলাকার প্রধান সড়কের বিক্ষোভ মিছিল এবং শেষে প্রায় দুইঘণ্টা ব্যাপি কারখানার প্রধান ফটক অবরোধ করে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
কারখানা প্রধান ফটক অবরুদ্ধ করায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যাহ্ন বিরতিতে বের হতে আধাঘণ্টা দেরি হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সার কারখানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দেওয়া ঠিকাদারের মাধ্যমে ‘দরপত্রে আহব্বান’ করে দুই বছরের জন্য এসব শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁদের ওপর কারখানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের এমন ছাটাই এর প্রতিবাদে ও ফের কাজের সুযোগ দিতে চতুর্থ দিনের মত বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ ককর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী শ্রমিকসহ স্থানীয়রা।
এ-সময় সমাবেশে শ্রমিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন, ডোয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন রতন, মহাদান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ।
এব্যাপারে কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, চুক্তিভিত্তিক ৪৮৬ জন শ্রমিকের মধ্যে ১৯৩ জনের নিয়োগ বিধি মোতাবেক আগেই বাতিল হয়েছে। বাকি ২৯৩ জনের মেয়াদকাল গত ৩১ আগস্ট শেষ হয়। নতুন ঠিকাদার নিযুক্ত করতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিলো, কিন্তু ঠিকাদারের মামলার কারণে নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ আছে।
এ-বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান, শান্তিপূর্ণভাবে শ্রমিকরা কর্মসূচি পালন করেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।