জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মানসিক এক রোগী নাম তার আশরাফুল আলম (৩৫)। হাতে পায়ে শিকল বাঁধা নিয়ে গৃহবন্দি জীবন কাটচ্ছে সাত বছর যাবত। তার আদর ভালোবাসা ও স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে স্ত্রীসহ তিন শিশু সন্তান।
দীর্ঘদিনের শিকলে বন্দি জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে না পারায় অসহায় হয়ে পড়ছে তার বৃদ্ধ বাবা-মা। তিনি উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের চরহরিপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক রমজান আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, চরহরিপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক রমজান আলীর তিন ছেলের মধ্যে বড় আশরাফুল আলম। লেখাপড়ায় ছিল মেধাবী। বাবার অভাবী সংসার। তাই, লেখাপড়া উচ্চ মাধ্যমিক পারি জমাতে পারেনি আশরাফুল আলম। দরিদ্র কৃষক বাবা রমজান আলী। জমিতে চাষাবাদ করে যা আসে তা দিয়ে সংসারের চাহিদা মেটাতে পারে না। সারা বছর সংসারে অভাব অনটন পিছু লেগেই থাকে। এরমধ্যে সাত বছর আগে বিয়ে করেন আশরাফুল আলম।
বিয়ের কিছু দিন কাটতে না কাটতেই হঠাৎ করে মানসিক রোগী হয়ে পড়েন তিনি। এতে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করে বেশ কিছু দিন। এরপর পাবনা, ময়মনসিংহ ও ঢাকা মানসিক হাসপাতালে নিয়ে দুই বছর করে ছয় বছর চিকিৎসা করলেও কোনো ফল হয়নি। এখন নিরাস হয়ে বাড়িতে শিকলে বাঁধায় গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে আশরাফুল আলমকে।
আশরাফুলের বাবা রমজান আলীসহ অনেকেই জানান, বছরে ২-৩ মাস মানসিক রোগ থেকে ভালো থাকে আশরাফুল আলম। তার বিয়ের সাত বছরের মধ্যে এক মেয়ে দুই ছেলে সন্তান হয়েছে। এখন তার স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে সংসার অভাব অনটনের মধ্যদিয়ে দিন কাটিয়ে আসছেন। আলমের ভালো চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।সুচিকিৎসার জন্য সবার কাছে আর্থিক ভাবে সহযোগীতার জন্য (পারসোনাল বিকাশ-০১৮৮০১১৫২৭৭) এই নাম্বারের মাধ্যমে সহযোগীতা চান তিনি।
এ-বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, বিষয়টি অবগত হলাম। খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা ও বিভিন্ন ভাতার সহায়তা দেওয়া হবে।