জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় ফেইজবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে হানিফ পালোয়ান নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
গত বুধবার (২০জুলাই) রাতে উপজেলা পরিষদের আবাসিক কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হানিফ উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী গ্রামের ট্রাক চালক ছাহের পালোয়ানের ছেলে ও সরিষাবাড়ী রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সি পরিক্ষার্থী।
মৃত্যুর আগে ফেইজবুকে যে স্ট্যাটাসটি দিয়ে আত্মহত্যা করে হানিফ পালোয়ান, আমার মরার জন্য কেও দায়ে না আমার একটা bike কুপ কিন্তে এইসসা হইসিল কিন্তু আমার মা বাবা আমারে bike কি না দেই নাই তাই আমি নিজ এইসাই এই দুনিয়ায় থাকে চলে জাইতাসি বেঁচে তাকলে bike নিয়া দেখা হবে good bye bd..
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সুত্র জানায়, নিহত হানিফ পালোয়ানের ছোট থেকেই মোটর সাইকেল চালানোর ব্যাপক আগ্রহ ছিলো তার। পুরাতন একটি মোটরসাইকেল পরিবারের পক্ষ থেকে কিনেও দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তার শখ ছিলো নতুন একটি মোটরসাইকেল ক্রয় করে চালানোর। টাকাও জোগাড় করা চেষ্টা চলছিলো। কিন্তু আবেগের বশত বুধবার রাত ১০ টায় দিকে ফেইসবুকে স্ট্যাটাজ দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হানিফ পালোয়ানের চাচা শাহীনুর রহমান বলেন, ছেলেটি বাবা-মায়ের খুবই আদরের সন্তান ছিলো। যখন যা আবদার করতো তাই পূরণ করার চেষ্টা করা হতো। কিন্তু মোটর সাইকেল যেহেতু অনেক টাকার ব্যাপার তাই টাকা জোগাড় করতে বিলম্ব হওয়ায় বাবা-মার সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করে। আমাদের কারও প্রতি কোন অভিযোগ নেই।
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, হানিফ পালোয়ান নামে এক শিক্ষার্থীকে রাত সাড়ে ১০ টায় দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার আত্মীয়স্বজন নিয়ে আসে। কিন্তু ছেলেটি হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়।
এ-ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার পুলিশ উপ পরিদর্শক মুর্শেদ আলম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।