শত শত মানুষের চলাচল ও ভারি বর্ষণের ফলে পুকুরের পাড় ভেঙে, মুজিব শতবর্ষের উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্প ২০টি ঘর মধ্যে ১৫টি ঘর হুমকি মুখে রয়েছে।
বুধবার (১জুন) সকালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বগারপাড় (পুকুরপাড়) এলাকায় আশ্রয়ন প্রকল্পে এমন চিত্র দেখা যায়।
আশ্রয়নে বসবাসকারী ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বগারপাড় (পুকুরপাড়) এলাকায় ভূমিহীনদের জন্য মুজিব শতবর্ষ উপহার হিসেবে ২০টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাতায়াতের পায়ে হাটার রাস্তা বৃষ্টির ভারি বর্ষণের ফলে পুকুরের গর্ভে চলে যাচ্ছে। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে থাকা সাধারণ মানুষ ও কমলমতি শিশু-কিশোররা। এই গুরুত্বপুর্ণ পুকুরপাড় দ্রুত সংস্কার করা না হলে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২০টি ঘর পুকুরের গর্ভে চলে যাবে।
আশ্রয়ন ঘরে থাকা বেলাল হোসেন, বিউটি, আমিনুর, বাবু বলেন, আশ্রয়ন ঘর গুলোর চতুর দিকে পুকুরের পাড় ও চলাচলের রাস্তা। ভারি বৃষ্টির কারনে পুকুরের পাড়গুলো ভেঙে যাচ্ছে। এভাবে ভেঙে গেলে এক সময় আমাদের আশ্রয়নে সব ঘর ভেঙে পড়বে। তাই এসব ঘরগুলো রক্ষা ও চলাচলের রাস্তার জন্য পুকুর পাড়ের ভাঙন রোধ করতে হবে।
আশ্রয়ন ঘরে থাকা মাহির উদ্দিন বলেন, আমার ঘরের পাশে একটি বাঁশ-ঝাড় ছিলো সেটা ভেঙে পুকুরের পানিতে চলে গেছে। এতে পুকুরের পাড় থেকে ঘর ২ফিট দুরে। যেকোন সময় ভারি বৃষ্টি হলে ঘর ভেঙে পুকুরের পানিতে চলে যাবে। তাই দ্রুত পকুরের পাড়টি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় চাইল্ড কেয়ার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামান লিটন মিয়া বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রায় ১০০ গজ দুরেই তার প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের অনেক ছেলে-মেয়ে পুকুরের এই পাড় দিয়ে চলাচল করেন। পাড় গুলো দিয়ে যাতায়াতে ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মী জে.এইচ মানিক মিয়া বলেন, চলাচলের জন্য পুকুরে এই পাড়টি খুবই গুরুতপূর্ণ। এটেঁল মাটি হওয়ায় বর্ষার সময় পায়ে হেটে চলাচল খুব কঠিন। বিশেষ করে আশ্রয়ন সামনে বিশাল বড় এই পুকুরটি থাকায় শিশু-কিশোরদের চলাচল ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই পুকুরের পাড় গুলো সংস্কার হলে মানুষের চলাচল সহ আশ্রয়ন ঘর গুলো ঝুকিমুক্ত থাকবে।
এ বিষয়ে পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক বলেন, পুকুর পাড়ের ঐ বিষয়টি জেনেছি। কাজের টেন্ডার করা হয়েছে দ্রুত কাজ করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা বলেন, এ বিষয়ে আশ্রিতাদের এখনও কোন অভিযোগ আসেনি। তবে বিষয়টি জানলাম, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।