জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জোরপূর্বক প্রেমিকের বাড়ি থেকে প্রেমিকা ছিনিয়ে মেয়ের বাবার হাতে তুলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রেমিক বিষপান করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।
শুক্রবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের একটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরিবার ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, ঐ এলাকার এক যুবকের সাথে অন্য একটি এলাকার এক যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার ঈদের তৃতীয় দিন ভোর রাতে যুবকের বাড়িতে চলে আসে মেয়ে।
পরে ছেলের পরিবার সামাজিক ভাবে মওলানা দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করেন। পরে শুক্রবার দুপুরে স্থানীয়রা জোরপূর্বক ছেলের ঘর থেকে মেয়েকে বের করে অজ্ঞান অবস্থায় মেয়ের বাবার হাতে তুলে দেন।
এ সময় পেমিকাকে নিয়ে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে ছেলে (প্রেমিক) ঘাঁস মারা ‘বিষপান’ করেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
ছেলের বোন ও তার মা বলেন, ছেলের পছন্দই আমাদের পছন্দ ছিলো। মেয়েটি আমার ছেলে কাছে নিজ ইচ্ছায় চলে আসে। পরে সামাজিক ভাবে তাদের বিয়ে দেই। কিন্তু আমাদের এলাকার চেয়ারম্যানের কথায় স্থানীয়রা জোর করে মেয়েটিকে এই বাড়ি থেকে বের করে তার বাবার হাতে দিয়ে দেয়। তখনই আমার ছেলে বিষপান করে। এখন আমার ছেলে মৃত্যু সজ্জায় রয়েছে হাসপাতালে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় আ’লীগ নেতা আল-আলামিন বলেন, ছেলে এবং মেয়ের তাদের বিয়ের বয়স হয়নি। মেয়ের বাবা মেয়েকে ফেরত চায়। তখন আমরা স্থানীয়রা মেয়েকে তার বাবার হাতে তুলে দিয়েছি। মেয়েকে জোরপূর্বক বের করা হয়নি, আলোচনা করেই মেয়েকে তার বাবার হাতে তুলে দিয়েছি।
এ ঘটনায় ডোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন বলেন, আমি বিশেষ একটা কাজে এলাকার বাহিরে আছি। গত কাল রাতে বিষয়টি জেনেছি। ছেলে-মেয়ে নাবালক, তাদের বিয়ের বয়স হয়নি। তাই মেয়ের বাবার ইচ্ছায় তার মেয়েকে তার অভিবাকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।