জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বেড়েছে ভুট্টার আবাদ, পেয়েছেন ভালো ফলন, ফুটেছে কৃষখের মুখে হাসি। শীতকালীন ফসল হলেও গ্রীষ্মকালেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভুট্টার আবাদ। ভুট্টা আবাদে খরচ অনেক কম, লাভ বেশি। এ কারনে ভুট্টা আবাদে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের মাঝে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ভুট্টা একটি শীতকালীন ফসল। গ্রীষ্মকালেও ভুট্টার আবাদ করা যায়। তবে গ্রীষ্মের চেয়ে শীতকালে এর ফলন ভাল হয়। শীতকালে বিঘা প্রতি ৩৫-৪০ মণ ভুট্টা উৎপন্ন হয়। আর গ্রীষ্মকালে বিঘা প্রতি ২৪-২৫ মণ উৎপন্ন হয়। ভুট্টা চাষে সেঁচ, আগাছা নিড়ানো, সার ও কীটনাশক প্রয়োগের তেমন কোন ঝামেলা নেই। উপযুক্ত আবহাওয়ায় অল্প খরচে এ ফসল ফলানো যায়। স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী ফসল হওয়ায় কৃষকদের মাঝে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। শীত মৌসুমে ভুট্টা চাষের উপযুক্ত সময়। খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় প্রতি বছর ভুট্টার আবাদ বাড়ছে।
এ উপজেলায় গ্রীষ্মকালেও ভুট্টার আবাদ শুরু করা হয়েছে। এ সময় ভুট্টা আবাদের কোন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়নি। তবে প্রতি বছর প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়ে আসছে। বাজারে ভুট্টার দাম বেশ ভালো। আর চাষাবাদে তেমন কোন খরচও হয় না। চাষেও জামেলা কম। এ কারনে প্রতি বছর ভুট্টার আবাদ বেড়েই চলেছে।
উপযুক্ত আবহাওয়ার কারনে এ উপজেলায় ভুট্টার ফলন যেমন বেশ ভাল হয়। তেমনি ভুট্টা গাছ গরুর খড় হিসেবে উৎকৃষ্ট। ফসল কাটা-মাড়াইয়ে তেমন কোন ঝামেলা নেই। জমিতে বীজ ছড়িয়ে দিলেই ভুট্টা ফলে। অন্য ফসলের চেয়ে উৎপাদন খরচ অনেক কম।
পৌরসভার বলারদিয়ার এলাকার খলিলুর রহমান নামে এক কৃষক বলেন, গত বছরের তুলনায় এভার ২বিঘা জমিতে তার ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমান বাজারে ভালো দামে ভুট্টা বিক্রয় করতে পারলেই প্ররিশ্রম সার্থক হবে বলে মনে করেন এই কৃষক।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ-আল মামুন বলেন, ভুট্টার এভার ভালো ফলন হয়েছে। আবাদে খরচ অনেক কম। এর ফলনও বেশ ভাল হয়। গ্রীষ্ম ও শীতকালে এর আবাদ করা যায়। তবে শীতকাল ভুট্টা চাষের উপযুক্ত সময়। এবার শীত মৌসুমে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১হাজার ৯০০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর। ভুট্টা শীতকালীন ফসল হলেও গ্রীষ্মকালেও এর উৎপাদন দিনদিন বাড়ছে বলেও তিনি জানান।