জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে প্রেমের দ্বিতীয় বিয়ে’র ৭ মাস যেতে না যেতেই পারিবারিক কলহের জের ধরে মমতাজ বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে সংবাদ পেয়ে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পেরণ করেন।
বুধবার (৬ এপ্রিল) সকালে সরিষাবাড়ী পৌরসভার রেজিষ্টার অফিস সংলগ্ন (রিয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়) মোড় এলাকায়, আবু সাঈমের বাড়ীতে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের তিন সন্তানের জনক আব্দুল গণি মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন সন্তানের জনক আব্দুল গণি মিয়ার সাথে গত ৭ মাস পূর্বে মমতাজ বেগমের সাথে ঢাকায় সম্পকের মাধ্যমে বিয়ে হয়। মমতাজ বেগম বগুড়ার শাজাহানপুরের নন্দী গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মাঝে নানা বিষয় নিয়ে দাম্পত্য কলহ-বিবাধ লেগেই থাকতো।
দ্বিতীয় স্ত্রী’ মমতাজ বেগমকে নিয়ে গনি মিয়া বাসা ভাড়া করে বসবাস করতেন। প্রতিদিনের মত স্ত্রীকে রেখে আব্দুল গনি মিয়া ব্যবসার কাজে বাহিরে যান। বুধবার সকালে দীর্ঘ সময় বাথরুমের দরজা ভিতর থেকে লাগানো দেখতে পায় প্রতিবেশীরা। ডাকাডাকি করার পর কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে নিহত মমতাজ বেগম দেহ বাথরুমের ধন্ন্যার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
এবিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আরিফুল ইসলাম বলেন, গলায় উড়না দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।