জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ৫নং পিংনা ইউনিয়ন পরিষদে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ইভিএম মেশিনে ধীরে ভোটগ্রহণ চলায় বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। ইতিপূর্বে এই উপজেলায় কখনো ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হয়নি। এই প্রথম ইভিএমে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ইভিএমে ধীরগতির কারণে একটি ভোট গ্রহণ করতে সময় লাগছে ১৩-১৫ মিনিট পর্যন্ত। এতে শেষসময় পর্যন্ত ভোটগ্রহণের হার নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সকাল সাড়ে ১১টায় পিংনা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কাওয়ামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও ২নং সুজাত আলী কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
কাওয়ামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মহিলা বুথের পোলিং অফিসার আকলিমা বেগম জানান, একটি ভোট নিতে ১৩ মিনিট সময় লেগেছে। এতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ধীরগতিতে।
এ কেন্দ্রের লাইনে দাঁড়ানো ভোটার হেলেনা ও চায়না বেগম জানান, সকাল ৯টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। লাইনের লোকই কমছে না, ভেতরে কীভাবে ভোট হচ্ছে আর ভোট দিতে কতক্ষণ লাগবে তা আল্লায় জানে।
৪নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মামুনুর রশীদ মামুন (মোরগ) অভিযান করেন, ইভিএমে ভোটাররা সঠিকভাবে ভোট দিতে পারছে না। নেটওয়ার্ক সমস্যা করছে, আঙ্গুলের ছাপ মিলছে না, অনেক সময় ব্যয় হচ্ছে। এমন হলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ভোট গ্রহণ না হওয়ার আশঙ্কা করেন তিনি।
২নং ওয়ার্ডের পিংনা সুজাত আলী কলেজ কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানো রবিউল ও সেকেন্দার আলীসহ কয়েকজন জানান, ৩ ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, লোকই তেমন ভেতরে যাচ্ছে না।
এ কেন্দ্রের ২নং বুথের পোলিং অফিসার মোবারক হোসেন জানান, আধা ঘণ্টা ধরে ইভিএম মেশিনটা নষ্ট। মেশিনের ক্যাবল পরিবর্তন করলাম, তাও হচ্ছে না। সচল করার চেষ্টা করছি।
এব্যাপারে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে আসা জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রফিকুল ইসলাম বলেন, কারিগরি ত্রুটি যা শুনেছেন, তা সারিয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া তেমন কোনো সমস্যা নেই, শীতকাল তাই অনেক বয়স্ক মানুষদের হাত কাঁপার জন্য কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। এছাড়া সামগ্রিকভাবে ইভিএম ইতিবাচক হিসেবে দেখতে হবে।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, পিংনা ইউনিয়নে চারজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় একমাত্র নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ ডা: মো: নজরুল ইসলাম জয়ের পথে।
এছাড়া সাধারণ (পুরুষ) সদস্য পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত (নারী) সদস্য পদে প্রার্থী রয়েছেন ১৩ জন। ইউনিয়নের ১০টি কেন্দ্র ও ৭৩টি বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৮৭১ জন।